সংক্ষিপ্ত
সরকারকে বিচারপতি নিয়োগের চূড়ান্ত ক্ষমতা দিলে ভারতবর্ষের গোটা শাসনব্যবস্থা ধ্বসে যাবে। সরকার যদি বিচারবিভাগকে অধিগ্রহণ করে তাহলে তা স্বাধীনতার অপব্যবহার হবে এবং সরকারই বিচারবিভাগীয় সবকিছুর 'শেষ দুর্গে' পরিণত হবে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর দাবি কপিল সিব্বালের
কলেজিয়াম বিতর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও। বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এর আগেও তুলকালাম হয়েছে সংসদ ভবন। বিচারক নিয়োগে সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত নাকি উচিত নয়- এর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি- তক্কোও চলেছে বহুদিন ধরেই। এর মধ্যেই আইনজ্ঞ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বালের এক চাঞ্চল্যকর দাবি সারা ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। তিনি স্পষ্ট দাবি তোলেন যে কলেজিয়ামের মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগকে "অধিগ্রহণ" করার চেষ্টা করছে। এর আগেও কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তার বক্তব্য নাড়িয়ে দিয়েছে ভারতবাসীকে।
তিনি বলেন যে সরকারকে বিচারপতি নিয়োগের চূড়ান্ত ক্ষমতা দিলে ভারতবর্ষের গোটা শাসনব্যবস্থা ধ্বসে যাবে। সরকার যদি বিচারবিভাগকে অধিগ্রহণ করে তাহলে তা স্বাধীনতার অপব্যবহার হবে এবং সরকারই বিচারবিভাগীয় সবকিছুর 'শেষ দুর্গে' পরিণত হবে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্ম দেবে।
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন যে যারা একসময় দাবি তুলেছিলেন যে তারা সবসময় চুপ করে থাকবেন না। তারা অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরব থাকলেও এই বিষয়ে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে তারা নির্বাচন কমিশন থেকে গভর্নর পদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এবং সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো) অন্যান্য সমস্ত প্রতিষ্ঠান দখল করলেও তারা বিচারবিভাগকে অর্থাৎ গণতন্ত্রের শেষ দুর্গকে এখনও দখল করতে পারেননি এবার সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন তারা।
আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর আদালতে বিচারকদের 'অত্যাধিক ছুটি' প্রসঙ্গে বলেন যে আইনমন্ত্রী প্র্যাকটিসিং অ্যাডভোকেট নন একজন বিচারক ১০ থেকে ১২ ঘন্টা সে বসে, আবেদন শোনেন, পরের দিনের শুনানির পটভূমি পড়ে রায় লেখা ইত্যাদি কাজ করেন এমনকি একজন বিচারকের ছুটি কাটে স্পিলওভার সামলাতে। তাই বর্তমান আইনমন্ত্রীর মন্তব্য যে একেবারেই অযৌক্তিক একথাও বলেন তিনি। এপ্রসঙ্গে নিজের কথা তুলে তিনি বলেন যে গত বছরে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সংসদে ৫৭ দিন কাজ করেছেন কিন্তু আদালতে ২৬০ দিন কাজ করেছেন। তাই আদালতের কাজ অনেক বেশি পরিশ্রমের।
আরও পড়ুন
মিলেট বর্ষ উদযাপনের জন্য সংসদে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজ, পাশে ধনখড়, অন্য মেজাজে মোদী