সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার বিকেলে বাদশাপুরে জাতিগত সংঘর্ষ। ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে হোটেল - দোকানে ভাঙচুর আগুন। আতঙ্ক গুরুগ্রামে।

 

হরিয়ানার পরিস্থিতি ক্রমশই সংকটজনক হচ্ছে। নুহর পর এবার সংঘর্ষের আগুন গুরুগ্রামে। সোমবার প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে নুহতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের আগুন জ্বলেছিল। যার বলি ৪ জন। আহতের সংখ্যা ৭০। সেই সংঘর্ষের আগুন এবার গুরুগ্রামে। পাল্টা হিসেবে সেখানে ধর্মীয় স্লোগান তুলে একদল উত্তেজিত জনতা স্থানীয় একটি রেস্তোঁরা ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। হামলা চালায় পরপর কয়েকটি দোকানে। প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছে প্রায় ২০০ জনের একটি দল লাঠি, পাথর নিয়ে বিকেল ৪টের সময় বাদশাপুরে প্রবেশ করে। তারপরই তারা হামলা চালায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৫০-৬০ জনের একটি দল। রাস্তায় থাকা লোকেরাও এদের দ্বারা আক্রানত হয়। হিংসার কারণ বাদশাপুর বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় রয়েছে প্রবল আতঙ্ক। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর। তবে এখনও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।

গতকাল প্রবল হিংসার ছবি দেখেছে নুহ। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। তারই জেরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে একটি শিব মন্দিরে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচাতে হয়। এই ঘটনার পরই রাতের দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুরুগ্রাম। সেখানে সংঘর্ষের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক ইমামের। এছাড়াই দুই হোমগার্ড ও একজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনারই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। কিন্তু তারপরেও এদিন বিকেলে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বাদশাপুরে।

হরিয়ানার হিংসার ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মেওয়াতেও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ পাথর ছোঁড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল। তাদের যাত্রা নন্দ গ্রামে পৌঁছালেই অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ হামলা চালায়। শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। তিনি আরও জানান আশেপাশের জেলা থেকে পুলিশ বাহিনী মেওয়াতে মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মনু মানেসার স্থানীয়দের বজরং দলের বের করা শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরই এলাকার মানুষ ক্ষেপে গিয়ে শোভাযাত্রাকেই টার্গেট করে। মানু মানসেরার বিরুদ্ধে দুটি হত্যার মামলা রয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নাসির ও জুনায়েদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার এফআইআরএর মানু মানেসারের নাম রয়েথে। হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার একটি বোলেরোতে দুই জনের আরপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই মানুর ক্ষেপে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

আরও পড়ুনঃ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'আমার মাটি আমার দেশ' কর্মসূচিতে বাংলার সঙ্গে ৭৫০০ জায়গায় মাটি আর গাছ যাবে দিল্লিতে

Manipur Violence: 'তদন্তে অক্ষম পুলিশ ', মণিপুরের মহিলা নির্যাতন নিয়ে কড়া মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

'জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললেই বিতর্ক...', হাইকোর্টের রায় ঘোষণার তিন দিন আগে মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথের