সংক্ষিপ্ত

  • উত্তরাখণ্ডের একমাত্র ঝুলন্ত সেতু লছমন ঝুলা বন্ধ করে দেওয়া হল
  • প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে প্রায় বহু পর্যটকই আসতেন এখানে
  • ১৯৩০ সালে পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সে
  • আর এবার ঠিক কী কারণে বন্ধ করে দেওয়া হল এই সেতু

প্রায় শতাব্দী প্রাচীন উত্তরাখণ্ডের একমাত্র ঝুলন্ত সেতু লছমন ঝুলা বন্ধ করে দেওয়া হল। হৃষিকেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এই লছমন ঝুলায় প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে প্রায় বহু পর্যটকই আসতেন। আনুমানিক ১৯২৭-২৯ সালের মধ্যএ নির্মাণের পর ১৯৩০ সালে পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতু। 

পাহাড়ের কোলে বয়ে চলা গঙ্গা নদীর ওপর প্রায় একশো বছরের পুরনো এই সেতু বারবার ফিরে এসেছে রুপোলি পর্দায়। একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকেরও শ্যুটিং হয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয় পর্যটকদের কাছেও খুবই আকর্ষণীয় স্থান ছিল এই লছমন ঝুলা। আর একশো বছরের কিছু কম বয়সী এই লছমন ঝুলা এবার পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উত্তরাখণ্ড সরকার। সেতুর ওপর যাবতীয় যান চলাচলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষের চলাচলও। বিষয়টি ঘোষণা করার পর থেকেই একদিকে যেমন ভেঙে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা পাশাপাশি হতাশ হয়েছেন বহু পর্যটক। 

কিন্তু কেন বন্ধ করে দেওয়া হল লছমন ঝুলা? সম্প্রতি পিডব্লুডি-এর একটি রিপোর্টের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, লছমন ঝুলার বেশ কিছু অংশেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর যে কারণে যে কোনও মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে বড়সড় কোনও বিপত্তি। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে তো মেরামত করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেতুর আর মেরামত করা সম্ভব নয়। আর এরপরই আর দেরি না করে সেতু বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরাখন্ড সরকার। প্রায় ১৩৬ মিটার দীর্ঘ এই সেতু বন্ধ হওয়ার ফলে টেহরি গাড়ওয়াল ও পৌরি গাড়ওয়ালের বাসিন্দাদের যছেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হবে। তাঁদেল প্রায় দু কিলোমিটার পথ হেঁটে রামঝুলা সেতু দিয়ে গঙ্গা পার হতে হবে।