সংক্ষিপ্ত

ভারতে ক্রমে বাড়ছে করোনভাইরাস-এর আতঙ্ক

এর মধ্যেই একটি রাজদানীর বুকে জমিয়ে 'গোমুত্র পার্টি'

কোভিড -১৯-এর প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় গোপণ্যের প্রচারেই এই পার্টি

থাকছে ঢালাও গোমূত্র পানের আয়োজন

 

দিল্লিতে করোনভাইরাস-এর আতঙ্কের মধ্যেই একটি 'গোমুত্র পার্টি' দিচ্ছেন হিন্দু মহাসভার নেতা চক্রপানি মহারাজ। গোটা বিশ্বেরই চরম হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড -১৯-এর প্রাদুর্ভাব। চিন থেকে অতি দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৮০ টিরও বেশি দেশে। ভারতে এখনও এই ভাইরাসে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে এদিন সংসদে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এরমধ্যে গোমূত্র সহ অন্যান্য গোপণ্য করোন মোকাবিলায় কতটা কার্যকরী হতে পারে তা বোঝাতেই এই পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে।

চক্রপানি জানিয়েছেন, যেমন চা পার্টি হয়, তার আদলেই হবে হিন্দু মহাসভার এই গোমূত্র পার্টি। পার্টিতে হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে করোনভাইরাস কী এবং গোপণ্য গ্রহণ করে কীভাবে মানুষ এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন, সেই সম্পর্কে সাধারপণ মানুষদের অবহিত করা হবে। দিল্লির এই পার্টিতে অভ্যাগতদের সেবনের জন্য কাউন্টারে কাউন্টারে 'গোমূত্র' পরিবেশন করা হবে। এছাড়া সেখানে ঘুটে, গোবর থেকে তৈরি ধূপকাঠি-র মতো অন্যান্য গোপণ্যও প্রদর্শিত হবে। সেগুলির ব্যবহার করলে কেউ নভেল করনোভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না বলেই দাবি করছে হিন্দু মহাসভা। দিল্লির পর এই ধরণের গোমূত্র পার্টি গোটা ভারতেই আয়োদন করার পরিকল্পনা রয়েছে হিন্দু মহাসভার। তার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে গোশালার মালিকদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা।

এর আগে চক্রপানি মহারাজ করোনাভাইরাস-কে বিষ্ণুর নরসিংহ অবতারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তাঁর মতে আমিষভোজীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই এর আবির্ভাব ঘটেছে।  নিরীহ প্রাণীদের সুরক্ষার জন্যই এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। চিন-কে প্রাণীদের নির্যাতন না করে নিরামিষাশী হওয়ার শিক্ষা দিতেই এই সংক্রমণ। গোমূত্র পার্টির কথা বলে তিনি জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ভারতীয়ই নিরামিষাশী হওয়ায় এটি এই দেশে খুব বেশি ছড়াবে না। কারণ 'জীব হত্যা'ই কোভিড-১৯ এর মূল কারণ। ভারতে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, কারণ তেলেঙ্গানার মন্ত্রীরা 'প্রচার' পেতে জনসমক্ষে মাংস সেবন খেয়েছিলেন। সেই প্রাণীদের কান্না শুনেই ভারতে নেমে এসেছে করোনা অবতার।