সংক্ষিপ্ত
এক দশক আগে পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন ভারতে। তারপর এখানেই পড়াশোনা করেছেন, বিয়েও করেছেন। সম্প্রতি তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার তিনি নামছেন ভোটের ময়দানে।
প্রায় এক দশক আগে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে যোধপুরে পাড়ি জমান নীতা কানোয়ার। লক্ষ্য ছিল দুটি - প্রথম, ভারতের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় ভালো করে পড়াশোনা করা এবং এবং দ্বিতীয় একটা উপযুক্ত পাত্র খুঁদে বিবাহ করা। সেই দুই স্বপ্নই আজ সফল। সম্প্রতি ভারতের নাগরিকত্বও পেয়েছেন। এবার রাজস্থানে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পালা। টঙ্ক জেলার নাটওয়ারা গ্রামে সরপঞ্চ পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ভোট-পরীক্ষা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি)-ই।
এমন একটা সময়ে তিনি নির্বাচনে লড়ছেন, যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে গোটা দেশ অশান্ত। তাঁর নিজের ভারতের নাগরিকত্ব পেতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের পরও তিন বছর লেগেছে। নতুন সংশোধনীর ফলে ২০১৫ সালের আগে তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা ধর্মীয় নিপীড়িত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। সিএএ নিয়ে নীতা কী বলছেন? তিনি বলেছেন এই বিষয়ে তিনি খুব বেশি জানেন না। তবে তাঁর মতে, যারা ভারতের উন্নত শিক্ষা এবং জীবনের অংশ হতে চান, সিএএ তাদের জন্য ভালো।
তিনি জানিয়েছেন তিনি সোধা রাজপুত সম্প্রদায়ের সদস্য। এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিজ-জাতে বিয়ে করতে পারেন না। তাই পাকিস্তানে থাকা সোধা রাজপুত সম্প্রদায়ের অনেক সদস্যই ভারতে পাড়ি জমান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা এসে ঠাঁই নেন রাজস্থানের যোধপুরে। নীতার কাহিনীও ঠিক তাই। ২০০১ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। ২০০৫ সালে আজমির-এর সোফিয়া কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। কলেজে পড়ার সময়ই পছন্দের পুরুষটিকেও পেয়ে যান তিনি। ২০১১ সালে যোধপুরের পীণ্যপ্রতাপ করণ-এর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। তাঁর বোন অঞ্জনা সোধা-ও তাঁর পথই অনুসরণ করেছেন।
তারপর তিন বছর লড়াই করে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬ বছরের নীতার হাতে ভারতের নাগরিকত্বের নথি তুলে দেয় টঙ্ক জেলা প্রশাসন। এবার ভোটের ময়দানে। তিনি জানিয়েছেন ভোটে জিতলে তিনি লিঙ্গ সমতা, মহিলা ক্ষমতায়ন এবং গ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।