সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাবে রাস্তায় খুন করা হয় এক হিন্দুত্ববাদী দক্ষিণপন্থী নেতাকে। পরপর পাঁচটা গুলি লাগে গায়ে। এর আগেই দুইবার সুধীর সুরিরে হত্যার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।

 

অমৃতসরের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হল হিন্দুত্ববাদী এক ডানপন্থী নেতা সুধীর সুরিকে। শিব সেনা নাম ব্যবহার করে এমনই একটি সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। একটি মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে বিরোধ মেটাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় স্থানীয় এক দোকানদার। এলোপাথাড়ি গুলি চালালেও পাঁচটি গুলি লেগেছে সুধীর সুরির গায়ে। ঘটনা স্থালেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনায় হামলাকারী সন্দীপ সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনের অস্ত্র। পিস্তল দিয়েই গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, একটি এসইউভিতে করে আরও তিন জনের সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছিল সন্দীপ। তারপরই সে গুলি চালায়। বাকিরা ঘটনার পরই চম্পট দেয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরই অমৃতসরে রীতিমত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে শাস্ত থাকার আবেদন জানিয়েছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে নিষেধ করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত জনপ্রিয় সুধীর সুরি। তিনি প্রায়ই হিন্দুধর্ম নিয়ে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে থাকেন। সূত্রের খবর এদিন একটি মন্দিরের পরিচালন কমিটির সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। রাস্তার ওপরেই বিবাদে জড়িয়েছিল দুই পক্ষ। এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছিল। মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিবাদের কারণে রাস্তাতে বসে ধর্না দিচ্ছিলেন সুরি। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। এবার পুরোপুরি সফল হয় দুষ্কৃতীরা।

কারণ এর আগে সুধীর সুরিকে ২০১৬ আর ২০১৭ সালে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় অকালি দল-বিজেপি জোট ও পরের বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। সেই সময় একের পর এক দক্ষিণপন্থী ধর্মীয় নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশই ছিল হিন্দুত্ববাদী নেতা।

২০১৭ সালের অক্টোবর লুধিয়ানার নেতা রবিন্দর গোসাইনকে দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে। তার মাত্র এক বছরের ব্যবধানে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল সুধীর সুরিকে। সেই বছরই খ্রিস্টান যাজক ও সুলতান মসিহকে লুধিয়ানার আরও দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুলি করে হত্যা করে। এই সময়ই লুধিয়ানার ডেরা সাচ্চা সৌদার অনুসারী হিন্দু তখত নামে একটি সংগঠনের নেতাকে হত্যা করা হয়। জলন্ধরের আরএসএস নেতা তথা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জগদীশ গগনেজাকেও হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সেই সময় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। 

আরও পড়ুনঃ