গঙ্গা কাউন্সিলের দ্বিতীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , যোগী আদিত্যনাথ-সহ অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এই রাজ্যে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এদিন ভোর রাতেই প্রয়াত হন তাঁর মা হীরাবেন মোদী। তিনি দিল্লি থেকে অহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন তাঁর ৭৮০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন ও উদ্বোধন করার কথা ছিল। কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের বৈঠকের সভাপতিত্ব করার কথা। একই সঙ্গে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী এই রাজ্যে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাবে ট্রেনটি। কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের জোকা-মেট্রো-তারাতলা স্ট্রেচ উদ্বোধন করবেন। তিনি ডক্টর শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়- ন্যাশানাল ইনস্টিটিউড অব ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কার্যালয় সূত্রে জানান হয়েছে, কলকাতায় বন্দে ভারত ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ, রেলের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ এবং নমামি গঙ্গে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারেন।
গঙ্গা কাউন্সিলের দ্বিতীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , যোগী আদিত্যনাথ-সহ অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
নরেন্দ্র মোদী বলেন বাংলার মানুষ স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এদিন রবীন্দ্রথান ঠাকুরের কবিতা ‘ওআমার দেশের মাটি’ একটি লাইন উচ্চারণ করেন মোদী। তিনি বলেন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। তার সুবিধে পাচ্ছে বাংলার মানুষ।
হাওড়-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত ও জোকা -তারাতলা মেট্রোর উদ্ধোধন করে মোদী বলেন তাঁর সরকার দুর্নীতি মুক্ত অবস্থায় কাজ করছে। এক ছাতার তলায় দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে নিয়ে আসা হয়েছে হয়েছে। ট্রেন,-বিমান-বাস প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তাঁর সরকারের আমলে দেশের রেলপথকে ঢেলে সাজান হয়েছে। কোচগুলির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। ৮ হাজারের বেশি রেলপথের বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। রেলর ইঞ্জিন ও রেক এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। দ্রুত এই সময় কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গত ৮ বছরে মেট্রের চালু করা হয়েছে প্রায় ২৪টি শহরে।
মোদী এদিন বলেন এই ট্রেন আত্মনির্ভর ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব চলছে গোটা দেশে। আর সেই সময়ই এই ট্রেনের সূচনা করতে পেরে তিনি খুশি। একই সঙ্গে তিনি নমানি গঙ্গা প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন গঙ্গা স্বচ্ছ রাখার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প গঙ্গা নদীতে দূষণ মুক্ত করবে। ৬০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প চলছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন এই দিনেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্দামানে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাই ৩০ ডিসেম্বর দিনটি বাংলা তথা দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফ্ল্যাগ অফ করেন। অতি-আধুনিক সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। ট্রেনটি মালদা টাউন, বারসোই এবং কিষাণগঞ্জ স্টেশনে থামবে। প্রধানমন্ত্রী জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্পের (পার্পল লাইন) জোকা-তারাতলা স্ট্রেচ উদ্বোধন করেন। জোকা, ঠাকুরপুকুর, সাখের বাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা নামে ৬টি স্টেশন থামবে এই মেট্রো। সাড়ে ৬ কিলোমিটারের এই রেলপথ তৈরি হয়েছে ২৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করে।
হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি ট্রেনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সবুজ পতাকা দেখান তিনি। রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন এটি। দেশের সপ্তম বন্দে ভারত ট্রেন। সেমি হাইস্পিড ট্রেনে তিন ঘণ্টা কম লাগবে হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে। সময় লাগবে মাত্র সাড় ৭ ঘণ্টা।
মায়ের মৃত্যুর পর শেষক-ত্য সম্পন্ন করে ভার্চুয়ালি হাওয়া স্টেশনের বন্দে ভারতের ফ্ল্যাগ অফ করেন মোদী। উদ্বোধন করেন জোকা মেট্রের। উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেন হীরাবেনের মৃত্যুতে।
গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল হীরাবেন মোদীর। এদিন ভোররাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন তিনি।
গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল হীরাবেন মোদীর। এদিন ভোররাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন তিনি।
১৮ জুন ১০০ বছর পূর্ণ করেন হীরাবেন। বিয়ে হয়েছিল ১৫-১৬ বছর বয়সে। আর্থিক অনটনের কারণে হীরাবেন স্কুলে যেতে পারেননি। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে।
হীরাবেন কোনও দিন স্কুলেই যাননি, তবে জোর দিয়েছিলেন সন্তানদের আত্মনির্ভর আর সুশিক্ষত করতে
শুক্রবার ভোররাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রল মোদীর মা হীরাবেন। গুজরাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্মন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হীরাবেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিসহ বিশিষ্টজনরা। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে
'হীরাবা পরিবারের জন্য সংগ্রাম করেছেন'- বললেন অমিত শাহ, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতির
আমরা এই কঠিন সময়ে তাদের প্রার্থনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সকলের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, বিদেহী আত্মাকে তাদের চিন্তায় রাখুন এবং তাদের পূর্বনির্ধারিত সময়সূচী এবং অঙ্গীকারগুলি চালিয়ে যান। এটি হীরাবাকে একটি উপযুক্ত শ্রদ্ধা হবে। জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গান্ধী নগরের বাড়িতে। সেখানেই তিনি তাঁর মাকে প্রনাম করেন। মায়ের দেহ নিয়ে শেষ যাত্রাও শুরু করেন।
কলকাতার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল হবে না। ভিডিও কনফারেস্নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেবেন সমস্ত অনুষ্ঠানে।
এদিন কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফ্ল্যাগ অব করার কথা। এছাড়াও একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের কথা। এদিনই তাঁর নমামি গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প ও জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের দ্বিতীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সমস্ত কাজই হবে। তিনি ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাট থেকে অনুষ্ঠানগুলিতে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে
মাকে শেষ বিদায় জানাতে গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী মোদী, ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন কলকাতার অনুষ্ঠানে
মা হীরাবেন মোদীর প্রতি ছিল নরেন্দ্র মোদীর অগাধ ভক্তি। যা নজর কেড়েছিল বিশ্বের। সময় পেলেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে।
ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার একটি বুলেটিন প্রকাশ করেছে। তাতে বলেছেন, শ্রীমতি হীরাবেন মোদী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর ভোর রাত ৩টে ৩০ মিনিটে মারা যান। মায়ের মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লি থেকে গুজরাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
মায়ের মৃত্যু সংসবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলছেন , 'একটি গৌরবময় শতাব্দীর ঈশ্বরের পায়ে স্থির।'তিনি আরও বলছেন, 'একটি গৌরবময় শতাব্দী ঈশ্বরের পায়ে বিশ্রাম নিচ্ছে, মা আমি সর্বদা সেই ত্রিত্ব অনুভব করছি যার মধ্যে একজন তপস্বীর যাত্রা রয়েছে নিঃস্বার্থ কর্মযোগীর প্রতীক ও মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জীবন।'