সংক্ষিপ্ত
বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল বোম্বে হাইকোর্ট। স্ত্রীকে দিতে হবে খোরপোশের টাকা। যদিও দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল এই মামলায়।
ঐতিহাসিক রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। যা আগামী দিনে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে যে কোনও মহিলাকেই দ্বিতীয় ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ বম্বে আদালতের রায় অনুযায়ী এবার থেকে শুধু প্রাক্তন স্বামীরাই স্ত্রীকে খোরপোশ দেবে এমনটা আর রইল না- স্ত্রীদেরও খোরপোশ দিতে হতে পারে প্রাক্তন স্বামীরা। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া এক স্কুল শিক্ষিকার মামলায় নিম্নআদালতের এমনই রায় বহাল রাখল উচ্চ আদালত অর্থাৎ বম্বে হাইকোর্ট। আগেই অবশ্য বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী যাতে তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে খোরপোশ দেন- তেমনি নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। স্বামীকে এবার থেকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা খোরপোশ হিসেবে দিতে হবে প্রাক্তন স্ত্রীকে।
বিবাহ বিচ্ছেদ
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯২ সালের ১৭ এপ্রিল । ওই বছর দম্পতির বিয়ে হয়। তাঁরা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। পরবর্তীকালে মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়। ২০১৫ সালে নন্দেনের আদালতে বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দেয়। তারপরই মহিলার প্রাক্তন স্বামী স্ত্রীর কাছে খোরপোশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
স্বামীর দাবি
স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা। বিয়ের পর উচ্চশিক্ষা লাভ করেন স্ত্রী। স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি সেইসময় সংসার সামলেছিলেন। নিজের ক্যারিয়ারের দিকে মন দিতে পারেননি। বিবাহবিচ্ছেদ তাঁকে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করেছে। বর্তমানে তাঁর রোজগার নেই। মানসিক ও শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় তিনি প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে খোরপোশের দাবি করেছে।
আদালতের রায়
নান্দেনের আদালত স্বামীর আবেদন মঞ্জুর করে। আদালত জানিয়েছিল, ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী স্বামী প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে খোরপোশ আদায় করতে পারেন। তাই স্কুল শিক্ষিকাকে প্রতি মাসে স্বামীকে তিন হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষিকা টাকা দিতে অস্বীকার করায় দুই বছর পর ২০১৯ সালে স্ত্রীকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ক্ষেত্রে স্কুলের প্রধানকে স্ত্রীর বেতন থেকে ওই টাকা কেটে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই স্কুল শিক্ষিকা বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বোম্বে হাইকোর্টের রায়
বোম্বে হাইকোর্ট জানায় হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী - যে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল সেই ব্যক্তি খোরপোশের দাবি জানাতে পারে। দাবি ন্যায় সঙ্গত হলে আদালত তা মঞ্জুর করবে। যিনি আর্থিকভাবে দুর্বল তিনি স্থায়ী বা অন্তবর্তী খোরপোশ পেতে পারেন বলেও জানান হয়েছে।
প্রক্তনদের বিবাদ-
স্কুল শিক্ষিকার স্বামীর দাবি স্ত্রী এমএ ও বিএড করেছে। একটি স্কুলে চাকরি করে। মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন পায়। তাই মাসে খোরপোশ দেওয়া প্রাক্তন স্ত্রীর সামর্থের মধ্য়েই পড়ে। অন্যদিকে স্ত্রী জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর রোজগার রয়েছে। একটি দোকান রয়েছে। অটো ভাড়া দিয়েও টাকা পান তিনি। তাঁদের একমাত্র কন্যাও স্বামীকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে। তাই তিনি টাকা দিতে বাধ্য নন। স্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বিবাহবিচ্ছেদের ২ বছর পর স্বামী খোরপোশের দাবি করেছিল। তাই প্রাক্তন স্বামীর আবেদন খারিজ করে দেওয়াই যুক্তসংগত কাজ।
আদালতের শেষকথা
বম্বে হাইকোর্টের অরঙ্গাবাদ বেঞ্চ অবশ্য নিন্মআদালতের রায়ই বহাল রেখেছে। জানিয়েছে স্ত্রীকে স্বামীর জীবনধারনের জন্য খোরপোশ দিতে হবে।
বসন্তে রোজ পাতে রাখুন সজনে, ডাঁটা চিবোলেই মিলবে যৌন সুখ- সেরে যাবে সর্দিকাশি
প্রেমিকের সঙ্গে রাস্তায় ঝগড়া করায় তরুণীকে 'শাস্তি', সবার সামনেই চড় কষাল ফুড ডেলিভারি বয়
কোভিড-১৯ এর নতুন বংশধর XE চিন্তা বাড়াচ্ছে, আগের তুলনা ১০ গুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য