সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাসের নতুন একটি জিনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা XE নামে পরিচিত। এটি আগেরগুলির তুলনায় বেশি সংক্রমণ যোগ্য বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশে।
ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে এই দেশে। একের পর এক রাজ্য শিথিল করছে করোনা-বিধি। শুধু ভারত নয় এই ছবি বিশ্বের সর্বত্র। টানা দু-বছর পরে মহামারির ভয়ঙ্কর দিনের আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে বিশ্ব। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আশঙ্কা জাগাচ্ছে কোভিড-১৯ এর নতুন প্রজন্ম। যা XE নামে পরিচিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে XE নামে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজন্মটি ওমিক্রেনের BA.2 উপ-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই আগামী দিনগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করারই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের BA.2 সাব-ভ্যারিয়েন্টকে কোভিড-১৯এর সবথেকে সংক্রামক স্ট্রেইন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেটিকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে XE স্ট্রেইন। নতুন একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে XE এখনও পর্যন্ত কোভিডের সবথেকে সংক্রমণযোগ্য মিউট্যান্ট। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের BA.2 উপ ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভার নতুন কোভিড কেসইও এই BA.2 -র জন্য দায়ি। সাউথ আফ্রিকা, ব্রিটেনসহ বিশ্বের একাধিক দেশে এটির প্রভাবও লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু XE তাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
XE সম্পর্কে তথ্য-
করোনাভাইরাসের নতুন প্রজন্ম XE । ওমিক্রনের দুটি সংস্করণের একটি হাইব্রিড মিউট্যান্ট এটি । অর্থাৎ BA.1 ও BA.2 যুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে XE মিউট্যান্ট।
সংক্রমণ ছড়াচ্ছে XE
ইতিমধ্যেই XE -র মাধ্যমে মানুষ সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে এটি চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর এই দেশে প্রায় ৬০০ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা XE র দ্বারা অসুস্থ হয়ে ছিলেন। চলতি সপ্তহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে তেমনই দাবি করা হটেছে
সংক্রমণযোগ্যতা
প্রাথমিক অনুমানে বলা হয়েছে BA.2 তুলনায় XE প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। অর্থাৎ এটি ১০ শতাংশ দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। তবে আরও বেশ কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতেবেদনে বলা হয়েছে যতক্ষণ না তীব্রতা ও সংক্রমণসহ বৈশিষ্ট্যগুলি আরও ভালোভাবে খতিয়ে না দেখা হচ্ছে ততক্ষণ এটি থেকে সাতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। XE কে ওমিক্রনের নতুন বৈকল্পিকের অংশ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যান্য মিউট্যান্ট
ইউকে হেলখ সিকিউরিটি এজেন্সি একটি সমীক্ষা অনুসারে তিনটি নুন রিকম্বন্যান্ট স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। এক্সডি, এক্সই ও এক্সএফ। একটি রিকম্বিন্যান্ট স্ট্রেইন হল একটি বা দুটি পূর্বে স্বতস্ত্র রূপের সমন্বয় গঠিত।
এক্স ডি বলতে ওমিক্রনের ডেল্টার এক্স ও বিএ.১ বংশের শঙ্করকে বোঝায়। রিপোর্ট অনুসারে এটি বেশি দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সে। তবে এক্সডি আরও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও মনে করছে লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের বিশেষজ্ঞরা। এক্সই হল ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ এর মিশ্রণ। এটি ব্রিটেনে পাওয়া গেছে। এক্সএফ হল ডেল্টার এক্স ও বিএ১এর শঙ্কর। এটিও ব্রিটেনে পাওয়া গেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই জিনটি সনাক্ত হয়।
২ বছর পর মুক্তি কোভিড-১৯ বিধি থেকে, নবান্নের নির্দেশিকায় উঠে গেল নাইট কার্ফু
শনিবার থেকে কোভিড বিধির 'ছুটি', এই রাজ্যে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল মাস্কেরও
বসন্তে রোজ পাতে রাখুন সজনে, ডাঁটা চিবোলেই মিলবে যৌন সুখ- সেরে যাবে সর্দিকাশি