সংক্ষিপ্ত
কীভাবে ভিতরকণিকাতে আছড়ে পড়েছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। দেখুন চমকে দেওয়ার মত ভিডিও।
গতকাল গভীর রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা থেমে ধামারার কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। জানা যাচ্ছে, গতিবেগ ছিল ১০০-১১০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এর প্রভাবে এখনও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষণ চলছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া এখনও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। আরও কিছুক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলবে। এরপর আস্তে আস্তে এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিক্ষয় হতে শুরু করবে।
উপকূলীয় জেলা ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, বালেশ্বর এবং নিকটবর্তী জগৎসিংহপুর জেলায় হঠাৎ করে বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখানে বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয়েও গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আঙ্গুল, বালাসোর, বৌধ, ভদ্রক, কটক, ঢেঙ্কানল, গজপতি, গঞ্জাম, জগৎসিংহপুর, জাজপুর, কান্ধামাল, কেওনঝাড়, খুরদা, ময়ূরভঞ্জ, নয়াগড় এবং পুরীতে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
কীভাবে ভিতরকণিকাতে আছড়ে পড়েছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। দেখুন চমকে দেওয়ার মত ভিডিও।
মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশার উপকূলে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও, প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর অবধি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও কোথাও বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগণার কোনও কোনও অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের (Rainfall Alert) সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের কোনও কোনও অংশে তুমুল বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।