সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় সেনাবাহিনী হেরন ড্রোন, এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টার এবং তার অস্ত্রযুক্ত সংস্করণ রুদ্র ব্যবহার করছে। এগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বরাবর চিনা বাহিনীর কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে।

আগামী দিনে যদি কোনও রকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তারজন্য লাল ফৌজদের যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে থাকতে চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। পূর্ব লাদাখ (eastern Ladakh) ও অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) সীমান্তে চোখ রাঙানি ক্রমশ বাড়ছে চিনা সেনা। চিনা দখলদারি(Chinese aggression) রুখতে সবরকম প্রস্তুতি রাখছে ভারতীয় সেনা। 

এই কাজে অত্যাধুনিক অস্ত্রের সম্ভার মজুত রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অস্ত্র সম্ভার বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বাহিনী। আর সেই দিকেই নজর রেখে প্যাংগং লেকে নজরদারি চালানোর জন্য লম্বা পরিসরের উন্নত প্রযুক্তির ১০-১৫টি হেরন ইউএভি ও ২০-২৫টি মাল্টি কপ্টার সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে বলেও সেনা সূত্রে খবর।

জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী হেরন ড্রোন, এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টার এবং তার অস্ত্রযুক্ত সংস্করণ রুদ্র ব্যবহার করছে যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বরাবর চিনা বাহিনীর কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে। পিপলস লিবারেশন আর্মির গতিবিধি ওপর নজর রাখার জন্য সেনা উচ্চমানের ক্যামেরা এবং সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার স্থাপন করেছে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখার উত্তরে এলএসি ছাড়াও সিয়াচেন সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন করা হয়েছে ইজরায়েলি স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, দূরপাল্লার নজরদারি ক্যামেরা ও ছোট আকারের অ্যাম্বুলেন্স। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনা সেনারও ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত।

ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে থাকা ইসরাইয়েলি হেরনকে আরও উন্নত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অস্ত্রযুক্ত এমকিউ-৯বি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ড্রোনগুলির বিশেষত্ব হল এটি ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে পারে। ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হয়। অস্ত্র নিয়ে এগুলি উড়তে পারে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই ড্রোনগুলি এয়ার টু সারফেস অর্থাৎ আকাশ থেকে মাটিতে লক্ষ্য করে মিসাইল বা লেজার গাইডেড বোমা ফেলতে পারে। প্রায় আড়াই টনেরও বেশি অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হেরন ড্রোন। 

এছাড়াও রয়েছে রুদ্র মিস্ট্রাল এয়ার টু এয়ার মিসাইল। যা ৭০ মিমি রকেট, ২০ মিমি বন্দুক এবং এটিজিএম দিয়ে সজ্জিত। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে 'স্যাপার পাঞ্চ' নামে আরেকটি টেসিং সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে যা শীতকালীন সুরক্ষা গ্লাভসের মতো পরা যেতে পারে এবং শত্রুকে একটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দিয়ে একটি বা দুটি আঘাত দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত তার এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে। চিনা সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে এলএসিতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করতে চাইছে। ভারত সতর্ক রয়েছে। কোনও রকম উস্কানিমূলক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। সংবাদসংস্থা এএনআইকে জেনারেল নারাভানে জানান, গত ছমাস ধরে ভারত চিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ভারতের তরফ থেকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় অপর পক্ষ সেই আলোচনার পথ বন্ধ করে দেবে না।