সংক্ষিপ্ত

প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল সিকিমে। তার জেরেই নাখুলা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। তার ফলে নাথুলা যেতে না পেরে বেশিরভাগ পর্যটক ভিড় করেছিলেন ছাঙ্গুতে। আর শনিবার বিকেলের পর থেকে সিকিমে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করে।

ইতিমধ্যেই তুষারপাত (Snow Fall) শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব সিকিমের (Sikkim) ছাঙ্গু লেক (Changu Lake) এলাকায়। এমনকী, রাজ্যের মধ্যে দার্জিলিংয়েও তুষারপাত দেখা গিয়েছে। আর বছর শেষে ভিড় থাকে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। সেই সময় ঘুরতে যান অনেকেই। একই ভাবে এই সময় সিকিমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়লেন বহু পর্যটক। তুষারপাত শুরু হওয়ায় ছাঙ্গুতে প্রায় শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে একাধিক সেনা ক্যাম্পে (Army Camp) রয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলেই তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে বাংলার কেউ রয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। 

প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল সিকিমে। তার জেরেই নাখুলা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। তার ফলে নাথুলা যেতে না পেরে বেশিরভাগ পর্যটক ভিড় করেছিলেন ছাঙ্গুতে। আর শনিবার বিকেলের পর থেকে সিকিমে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে শুরু করে। তুষারপাতের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছিল। সেই পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে অনেক গাড়ি আটকে পড়ে। কয়েকটি গাড়ি বেরিয়ে গেলেও, একাধিক গাড়ি আটকে যায়। আর তাতেই ছাঙ্গু এলাকায় আটকে পড়েন পর্যটকরা। পরে সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন সেনা ছাউনিতে। 

অন্যদিকে সান্দাকফু ও টাইগার হিলে (Tiger Hill) তুষারপাত শুরু হয়। আর ঘুরতে গিয়ে সেখানে তুষারপাত দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা (Tourist)। তবে বছর শেষে রাজ্যে তেমন ঠান্ডা আর থাকবে না বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কারণ রাজ্যে ঠান্ডা থাকলেও আর কনকনে ভাব থাকবে না। কারণ উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সেই কারণেই উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে পারছে না। 

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়গ্রামে। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।