সংক্ষিপ্ত
যোগী আদিত্যনাথের নয়া হুমকি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন তালিবানরা যদি ভারতের দিকে এগোনোর সাহস দেখায় বা নজর দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে প্রাণঘাতী এয়ারস্ট্রাইক তাদের স্বাগত জানাবে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh Chief Minister) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নয়া হুমকি। তাঁর চরম হুঁশিয়ারি তালিবানদের (Taliban) প্রতি। রবিবার এক সামাজিক প্রতিনিধি সম্মলেন যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন তালিবানরা যদি ভারতের দিকে এগোনোর সাহস দেখায় বা নজর দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে প্রাণঘাতী এয়ারস্ট্রাইক (airstrike) তাদের স্বাগত জানাবে। তার জন্য যেন তৈরি থাকে তারা। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে তালিবানরা অস্থিরতা তৈরি করেছে উল্লেখ করে যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য ভারত কোনও বহিরাগত শক্তির কাছে কোনওভাবেই মাথা নোয়াবে না।
যোগীর দাবি ভারতের দিকে নজর দেওয়ার আগেই এয়ারস্টাইকের মুখে পড়বে তালিবানরা। তাদের জন্য এই বিমান হামলা তৈরি রয়েছে। এদিন তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব শক্তিশালী দেশ গঠনের পথে রয়েছে ভারত। সেই দেশের দিকে কোনও বহিরাগত শক্তি চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। কারণ তালিবানরা জানে তারা যদি ভারতের দিকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে তবে প্রাণঘাতী এয়ারস্ট্রাইক তৈরি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পালটায় প্রত্যাঘাত করে ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বারোটি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক করেন। জেট বিমান মিরাজ ২০০০ জইশ-ই-মহম্মদের ঘাটিতে হামলা চালায়। ভারতীয় জেটগুলি এলওসি পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পেরিয়ে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্ফরাবাদে জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালাল ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। বালাকোটে একটি জৈইশ-ই-মোহাম্মদ পরিচালিত জঙ্গি ঘাঁটি আক্রমণ করে এবং বিমান হামলায় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তানের মতে, ভারতীয় সামরিক বিমান মুজফফরাবাদের কাছে তাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে এই হামলা করে।
জৈশ-এ-মহম্মদের মাদ্রাসার ওপর ভারতীয় বায়ুসেনার হানায় প্রতিটি বিমানে ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপবিন্দুতে মোট বিস্ফোরকের পরিমাণ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কেজি টিএনটি। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে ১০০০ কেজি ওজনের বোমা ফেলে। তাতে মারা যায় প্রায় ৩০০ জন জঙ্গি।
রবিবারই দীপাবলির আগে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিশেষ পুজো করেন যোগী। রাম মন্দিরে জল অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী । এই অনুষ্ঠানেই রাম জন্মভূমিতে কাবুল থেকে আনা জল অর্পণ করেন যোগী আদিত্যনাথ। কাবুল নদী ও গঙ্গার জল একসঙ্গে দেওয়া হয় রাম মন্দিরের মাটিতে। বিশেষ সূত্রে খবর, রাম জন্মভূমিতে এই জল অর্পণের জন্য আফগানিস্তানের বাসিন্দা এক কিশোরী তা পাঠিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে এই জল পাঠানো হয় কাবুল থেকে। আদিত্যনাথ এদিন বলেন মন্দির নির্মাণের জায়গায় বিশ্বজুড়ে পবিত্র নদীর জল দেওয়া হবে এবং কাবুলের এই মেয়েটি ভক্তির চরমতম নিদর্শন দেখিয়েছে। এটি একটি নজির। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে যোগী আদিত্যনাথ বলেন আফগানিস্থানের রাজধানী থেকে জল এসেছে রাম মন্দিরের জন্য।