সংক্ষিপ্ত
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশে। হাসপাতালের মধ্যেই তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি চিকিৎসকরাও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। এই অবস্থায় শনিবার গোটা দেশেই ইন্ডিয়ার মেডিক্যাল অঅযাসোসিয়েশন (IMA) কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। বন্ধ ছিল ওপিডি। হাসপাতালে নিরাপত্তার সঙ্গে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার শাস্তির দাবি জানান হয়েছিল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়,এবার সংগঠনের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি লিখে মোদীর কাছে পাঁচটি দাবাও জানান হয়েছে।
শনিবার দেশের সবথেকে বড় চিকিৎসক সংগঠন চিঠি লিখে নরেন্দ্র মোদীর কাছে যে পাঁচটি দাবি জানিয়েছে তা হল-
- ১। 'আমরা ঘটনার এই পর্যায়ে সরাসরি আপনার হস্তক্ষেপ দাবি করছি। তা শুধু মহিলা চিকিৎসক নয় দেশের সমস্ত কর্মরত মহিলাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।' দেশের ৬০ শতাংশ চিকিৎসক মহিলা। আরজি করের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বলও জানিয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনের দাবি প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে।
- ২। চিকিৎসক সংগঠন স্বাস্থ্য কর্মী সুরক্ষায় একটি কেন্দ্রীয় আইন লাগু করার দাবি জানিয়েছে। ১৮৯৭ সালের মহামারি রোগ আইনে ২০২০ সালে সংস্কার করা হয়েছিল । সবমিলিয়ে একটি কেন্দ্রীয় আইন চালু করার দাবি জানিয়েছে।
- ৩। আরজি কর হাসপাতাল-কাণ্ডের প্রকৃত , স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান হয়েছে।
- ৪। দেশের সরকারি বেসরকারি সহ হাসপাতালেই বিমান বন্দরের মত সুরক্ষা চেয়েছে আইএমএ। দেশের সব হাসপাতালকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণার দাবিও রয়েছে চিঠিতে।
- ৫। আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয় - তারও আবেদন জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন।
শুক্রবারই IMAর তরফ থেকে জানান হয়েছিল, সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারি কর্পোরেট হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরে ২৪ ঘণ্টার জন্য ওপিডি ও সার্জারি পরিষেবা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে এই কর্মবিরতি, চলবে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। তারপরই হাসপাতালের দুটি বিভাগের পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। সগঠনের পক্ষ থেকে চিকিৎসক অশোকান বলেছেন, 'আমরা চাই সরকার হাসপাতালগুলিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করুক। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সুরক্ষা আইন আনুক। তাদের ডাকে কর্মবিরতির কারণে শনিবার দেশের ৫৫ হাজার হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা থমকে গিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরজি কর ইস্যুতে মিছিল ও বিক্ষোভ করে চিকিৎসকরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।