সংক্ষিপ্ত
বাড়ির আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে টার্গেট করা হল বাড়ির গৃহবধূকে। শুরু হল বাড়ির বউকে নগ্ন করিয়ে ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ড করা।
ভালো চলছিল না পারিবারিক হোটেল ব্যবসা, টালমাটাল পর্যায়ে এসে গিয়েছিল হোটেল বিক্রি করার মতো পরিস্থিতিও। বাড়ির আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে টার্গেট করা হল বাড়ির গৃহবধূকে। শুরু হল বাড়ির বউকে নগ্ন করিয়ে ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ড করা। শ্বশুর-শাশুড়ির কাজে সাহায্য করতে লাগলেন স্বামীও। সেই নগ্ন ছবি এবং ভিডিও পর্ন ছবির ওয়েবসাইটে আপলোড করে চলছিল প্রচুর টাকা রোজগার। দিনের পর দিন ধরে গৃহবধূর ওপরে চলতে লাগল অত্যাচার।
-
নগ্ন ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ডিং করার পর ক্ষান্ত হননি শ্বশুর এবং শাশুড়ি। এরপর আরও টাকার লোভে নিজের ছেলেকে দিয়ে শুরু হল বউমাকে ধর্ষণ করানোর পালা। ধর্ষণ করিয়ে সেই ভিডিও রেকর্ড করে চলতে লাগল পর্ন ওয়েবসাইটে আপলোড এবং টাকা রোজগার। মুখ খুললে বিভিন্ন রকমের ভয় দেখানো হত তাঁকে। অত্যাচার ক্রমাগত মাত্রাছাড়া হয়ে উঠতে শুরু করলে বাধ্য হয়ে একদিন গুজরাতের রাজকোট সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। শ্বশুরবাড়ির ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। মামলা ওঠে গুজরাট হাইকোর্টে।
-
মামলা চলাকালীন গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court) বিচারপতি দিব্যেশ যোশী-র কাছে জামিনের জন্য আবেদন জানান মহিলার শাশুড়ি। বিচারপতি আদালতে স্পষ্ট বলেছেন, ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংস্রতার যে রিপোর্ট পাওয়া যায়, প্রকৃত ঘটনাগুলো সম্ভবত তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই আরও একটি যুগান্তকারী মন্তব্য করেন দিব্যেশ যোশী। তিনি বলেন, “(একজন মহিলার উপর হামলা বা ধর্ষণ করা) অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অভ্যাস হল যে, ওই (ধর্ষণকারী) পুরুষটি যদি মহিলার স্বামী হন, তাহলেও তিনি যদি অন্য পুরুষের মতো একই কাজ (ধর্ষণ) করেন, তখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় (যেহেতু তিনি মহিলার স্বামী)। আমার বিবেচিত দৃষ্টিভঙ্গি হল, একজন মানুষ একজন মানুষই হন। একটি কাজ-ও একটি কাজ-ই। আদালত যখন বলছে যে, ধর্ষণ মানে ধর্ষণই, তখন সেটা যেকোনও পুরুষের দ্বারা করা হোক না কেন, অপরাধী পুরুষ ‘স্বামী’ এবং নির্যাতিতা মহিলা তাঁর ‘স্ত্রী’ হলেও, সেটা ধর্ষণ বলেই গণ্য হবে।"
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।