সংক্ষিপ্ত
- দুই শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় খালাস অভিযুক্ত
- অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারল না পুলিশ
- বাম সরকারের মামলায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ
- বিচার চেয়ে স্মৃতি ইরানির দ্বারস্থ রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর
প্রায় দুই বছর আগে কেরালায় বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে দুই বোনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয় ওই দুই বোনকে হত্যা করা হয়। হত্যা করার আগেই এই দুই বোনের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। দুই বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ কেরালা পুলিশ জোগাড় করতে পারেনি। এই বিষয়ে প্রথেশ বিশ্বনাথ নামের এক ব্যক্তি একটি টুইট করে। সেই টুইটকে শেয়ার করে বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য রাজীব চন্দ্রশেখর আর একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি স্মৃতি ইরানির দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখেন, দুই বছর আগের ঘটনায় এখনও কেন অভিযুক্ত খালাস পেল। ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ স্পষ্ট। তিনি জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশনকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করারও আবেদন জানান টুইটে।
২০১৭ সালে কেরালায় দুই নাবালিকা বোনকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ওই দুই বোনের মা অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে হত্যা করতে বাম আশ্রিত রাজৈনিতক দুষ্কৃতী রয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারে না। শুক্রবার এই মামলার রায় দান ছিল। সেদিন আদালত জানায়, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে না পারার জন্য তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
এরপরেই বিতর্ক শুরু হতে থাকে। রাজনৈতিক কারণেই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করেনি বলে মনে করছে ওই দুই বোনের মা। সোমবার কেরালার বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক শফি পরমবিল এই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলায় বাম সরকারের প্রভাব রয়েছে। রাজ্যের বাইরে গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে এই মামলার তদন্ত করানোর দাবি করেন।