সংক্ষিপ্ত
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, আমন্ত্রণ পত্রগুলিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যোগ করেছেন।
অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের জমকালো অনুষ্ঠানের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশ থেকে প্রায় হাজার হাজার সাধুকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছে, আড়াই থেকে তিন হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন দেশের শীর্ষস্তরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তরা।
আমন্ত্রণ পত্রের প্রোটোকল-
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, আমন্ত্রণ পত্রগুলিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, পবিক্রকরণ কর্মসূচিতে প্রবেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের উপর জোর দিয়েছেন। অনুষ্ঠান পর্ব যাতে মসৃণভাবে চলে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমন্ত্রিতরাও যাতে সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলেন তারও আহ্বান জানিয়েছেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নির্দেশিকা
ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই উপস্থিতদের অসুবিধে এড়াতে প্রোটোকল মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন। আমন্ত্রণপত্রেই বলা হয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে ঢুকতে দেওয়া হবে। ক্যামেরা নিয়েও অনুষ্ঠান স্থলে ঢোকা যাবে না।
আমন্ত্রণপত্রের নির্দেশিকা
উপাদানের বিধিনিষেধ- দর্শনার্থীরা মন্দির প্রাঙ্গনে মোবাইল ফোন, ক্যামেরার মত গেজেট নিয়ে যেতে পারেবে না। স্পষ্ট করে তার নির্দেশ জারি করা রয়েছে।
ভক্তিমূলক পথ-অংশগ্রহণকারীদের একটি ভক্তিমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাদের সফরের সময় একাধিক আধ্যাত্মিক বার্তা গ্রহণ করতে হবে।
লজিস্টিক বিষয়-আমন্ত্রণপত্রে লজিস্টিক বিশদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেমন অযোধ্যায় প্রস্তাবিত আগমনের সময়, মসৃণ প্রবেশ এবং ব্যবস্থার সুবিধার্থে তাড়াতাড়ি আগমনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ বিবেচনা
ট্রাস্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অনুরোধ জানিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ছত্র চামর ও ঠাকুরজির মত আনুষ্ঠিক সরঞ্জাম না আনার অনুরোধ করেছে। অতিরিক্তভাবে অমন্ত্রণটি রামনগরীতে প্রবেশ করতে হবে ২০-২১ জানুয়ারির মধ্যে। ২২ জানুয়ারি মূল অনুষ্ঠান। সেই দিন যাতে কোনও বিশেষ অতিথি অযোধ্যা না আসে তারও আবেদন জানান হয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানমঞ্চে বেলা ১১টার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এই সময়ই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠান চলবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাঁর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পরই বাকিরা সেখানে প্রবেশের অধিকার পাবেন। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের একটি বিশেষ ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই আমন্ত্রিতরা নিজের তথ্য দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পত্র পাওয়া যাবে।