সংক্ষিপ্ত

নাউট ডিউটিতে এক মহিলা আবাসিক চিকিৎসকের ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সিয়ন হাসপাতালে তাকে ৫-৬ জন মদ্যপ কর্মী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই চিকিৎসককে রীতিমত শারীরিক নিগ্রহ করা হয়।

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফের প্রায় একই ঘটনা ঘটলা আরেক মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে। মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে নাউট ডিউটিতে এক মহিলা আবাসিক চিকিৎসকের ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সিয়ন হাসপাতালে তাকে ৫-৬ জন মদ্যপ কর্মী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই চিকিৎসককে রীতিমত শারীরিক নিগ্রহ করা হয়।

এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর রোগীর পরিচারিকাসহ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতির সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

দেশ জুড়ে ডাক্তার এবং অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা রোধে কেন্দ্র সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। তা মাঝেই ঘটে গিয়েছে মুম্বইয়ের এই ঘটনা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে ডাক্তারদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে বলে খবর। চিকিৎসকদের দাবি হাসপাতাগুলিকে সেফ জোন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি হাসপাতালে রাখতে হবে।

রাজ্য পুলিশ বাহিনীর কাছে দেওয়া একটি বার্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। দুই ঘন্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিবেদন তৈরি করে ফেলতে হবে। ফ্যাক্স/ইমেল/হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এমএইচএ কন্ট্রোল রুমে (নয়া দিল্লি) পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার হয়। তাকে ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। সিবিআই সূত্র থেকে খবর, নির্যাতনের আগের দিন অর্থাৎ ৮ আগস্ট থেকে অভিযুক্তের গতিবিধি কী ছিল, তা জানতেই তার ভবানীপুরের বাড়িতে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেখানে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।