সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার (Russia) সামরিক অভিযান ইস্যুতে ফের একবার রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) নিরেপক্ষ অবস্থান নিল ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে ডাকা হয় বিশেষ সাধারণ সভা ভোটভুটি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত ভারত, চিন (China) ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (UAE)।
 

ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার (Russia) সামরিক অভিযানের পর কেটে গিয়েছে চার দিন। এখনও আগ্রাসন কমায়নি রশ সেনা। একের পর এক মিসাইল হামলা চলছে ইউক্রেনে। যার ফলে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে ডাকা হয় বিশেষ সাধারণ সভার। কিন্তু সেই সেই ভোটাভুটিতে ফের একবার নিরেপক্ষ অবস্থান নিল ভারত (India)। বলা চলে কোনও পক্ষই নিল না ভারত। ভোটভুটি বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। শুধু মাত্র ভারত নয়, ভোটভুটি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় চিন (China)এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও (UAE)।

এই প্রথম নয় এর আগেও জাতিসংঘের ভোটাভুটিতে থেকে বিরত থেকে পাশি-ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল ভারত। এর আগে রাশিয়ার ‘আগ্রাসন’-এর নিন্দা জানিয়ে আমেরিকারআনা প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ভারত। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেনট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে রাষ্ট্রসংঘে ‘সাহায্যের’ আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে এরপরও ভারত ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেল না। এই ধরনের বিশেষ সাধারণ সভা রাষ্ট্রসংঘের ইতিহাসে বিরল। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তান দখল করেছিল, তখন এই ধরনের বিশেষ সাধারণ সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল।

ভারত,চিন ও সংযুক্তি আরবআমিরশাহি ভোট দান থেকে বিরত থাকে, রাশিয়া স্বাভাবিকভাবেই নায়ের পক্ষে ভোট দেয়। ফলে ১৫টি ভোটাভুটির ম্যে ১১-১ ব্যবধানে প্রস্তাব গৃহীত হয়। আমেরিকা, ইংল্য়ান্ড, ফ্রান্স, ঘানা, কেনিয়া, গ্যাবন, আয়ারল্যান্ড, আলবেনিয়া, নরওয়ে, মেক্সিকো এবং ব্রাজিল প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোট দান থেকে বিরত থাকার পর রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন,'আমরা বেলারুশ সীমান্তে আলোচনা করার জন্য উভয় পক্ষের আজকের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। আমরা এখনও ইউক্রেনে আটকা পড়া বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র সহ ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতিরত সামগ্রীকতা বিচার করে আমরা ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযয়ী রবিবার পর্যন্ত সেদেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন শিশু সহ মোট ৩৫২ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়। মোট ১৬৮৪ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্য়াাট আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন (Ukrain)। কারণ রাশিয়ার (Russia) দেওয়া প্রস্তাব প্রথমে ফেরালেও দিনের শেষে সেই বেলারুশেই (Belarus) রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। তবে রাশিয়ার মত অনুযায়ী গোমেল শহরে নয়। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তেও তারা আলোচনায় বসবে। এখন দেখার সেই বৈঠক থেকে যুদ্ধ বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত হয় কিনা।