সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেসের পরবর্তী বৈঠক না ডাকার সিদ্ধান্তের জেরে জোটের অন্যান্য দলগুলির মধ্যে তীব্র ক্ষোভ।
দিল্লী নির্বাচনে পরাজয়ের পর ইন্ডিয়া জোটে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিবসেনা দাবি করেছে, আপ ও কংগ্রেসকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে জয়ের আশা শেষ করবে? নাকি একসঙ্গে তারা এগোবে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সতর্ক করে বলেছে, তাছাড়া জোটের শরিক দলগুলির মধ্যে এই অহংকার চলতে থাকলে দিল্লীর ঘটনা আবার ঘটবে বলে দিয়েছে। পরবর্তী বৈঠক না ডাকা এবং কংগ্রেসের নীরবতা নিয়ে জোটের অন্যান্য দলগুলির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই আসলে পরস্পরের ক্ষতি করা। আপ কোনও আসন পায়নি, কংগ্রেস একেবারেই শূন্য। দিল্লীর নির্বাচন কি বার্তা দিচ্ছে, এই প্রশ্ন ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি তুলতে শুরু করেছে। নেতাদের মতে, পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুযোগ নষ্ট করা বিজেপির জন্য সুবিধা হয়ে যাচ্ছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হওয়া ইন্ডিয়া জোট কি চলবে, এই বিষয়ে কংগ্রেস ও আপকে তাড়াতাড়ি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলে শিবসেনা দাবি করেছে। এই কোন্দল চলতে থাকলে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না বলে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত মন্তব্য করেছেন।
এদিকে রাহুল গান্ধী খোলাখুলিভাবে কেজরিওয়ালকে মিথ্যাবাদী ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন, যা আপের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
নির্বাচনের পর আপ ও কংগ্রেসের সম্পর্ক আর আগের মতো হবে না বলেই মোট অনেকের। অক্টোবর মাসে বিহারে নির্বাচন আসছে, তাই আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইন্ডিয়া জোট এই মুহূর্তে বড়সড় সংকটের মুখে রয়েছে। এই কারণেই কংগ্রেস পরবর্তী বৈঠকের জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।