সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানকে স্পষ্ট ভাষায় নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে মুম্বই হামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। ১৫টি দেশের ১৬৬জন ভুক্তভোগীর পরিবার এই মামলার সুবিচারের আশায় রয়েছে বলে এদিন জানায় বিদেশমন্ত্রক।

সন্ত্রাস (Terror Attack) ইস্যুতে ফের পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত ভারত। ছাব্বিশ এগারো হামলার (Mumbai Terror Attack) ১৩ তম বর্ষপূর্তিতে (13th anniversary of the 26/11) পাকিস্তান হাই কমিশনের (Pakistani High Commission) উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে ডেকে পাঠাল বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। এদিন পাকিস্তানকে স্পষ্ট ভাষায় নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে মুম্বই হামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। ১৫টি দেশের ১৬৬জন ভুক্তভোগীর পরিবার এই মামলার সুবিচারের আশায় রয়েছে বলে এদিন জানায় বিদেশমন্ত্রক। 

ওই পাক কূটনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা একটি নোটে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসসংক্রান্ত কোনও ধরণের কার্যকলাপ না চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সেই বক্তব্য যেন মেনে চলে পাকিস্তান, এমনই দাবি করা হয়েছে ভারতের তরফে।  বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে বলেছে।  

বিদেশ মন্ত্রক এদিন জানিয়েছে পাকিস্তানের উস্কানিতে মুম্বইতে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, তার ক্ষত ভোলার নয়। তবে এটা দুঃখের যে এখনও এই মামলার বিচার চলছে। হামলার ১৩ বছর পরেও সুবিচারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ১৫টি দেশের ১৬৬টি পরিবার। তবে আশার কথা পাকিস্তান অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সামান্য আন্তরিকতা দেখিয়েছে। ভারতের বরাবরের দাবি এই হামলা পাকিস্তানের উস্কানিতেই করা হয়েছিল। পাক মাটি থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গিরাই হামলা চালায়। 

১৩ বছরের ক্ষত। আজও দাগ শুকোয়নি মুম্বই তথা ভারতের। সেই বিভীষিকাময় রাত মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠে তামাম ভারতীয়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের জঙ্গি আজমল কাসভ-সহ একাধিক জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে। পাশাপাশি ছত্রপতি শিবাজি রেলস্টেশন, তাজহোটেলসহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। ভয়ঙ্কর সেই হামলায় ৬ আমেরিকান-সহ ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। 

এই হামলার জীবিত জঙ্গি হিসেবে একমাত্র আজমল কাসভকেই গ্রেফতার করেছিল ভারত। বাকিরা সকলেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। লম্বা বিচারপক্রিয়া পেরিয়ে কাসভকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারে আরও একাধিক জঙ্গিদের নাম সামনে আসে। কিন্তু তাঁদের এখনও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই আনা যায়নি। 

মুম্বই বিস্ফোরণে আরও এক অন্যতম মাথা ছিল দাউদ গিলানি। মার্কিন আদালতে গিলানির সাক্ষ অনুযায়ী জানা যায় যে, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার কৌশল, আইএসআই-র কাছ থেকেই পেয়েছিল। এই কাজের জন্য তাঁকে ২৯ হাজার ৫০০ ইউর দেওয়া হয়েছিল। যা তিনি পেয়েছিলেন একজন আইএসআই অফিসারের কাছ থেকে। মার্কিন আদালতের নথিতে যিনি মেজর ইবাল নামে পরিচিত। বাকি অর্থ এসেছিল হ্যাডলির কাছে, সাজিদ-ওয়াজিদ নামের এক আইএসআই অপারেটরের কাছ থেকে। যিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে মাজিত মির নামে পরিচিত। বহিরাগত অপারেশনের প্রধান ছিল এই মাজিতই।