সংক্ষিপ্ত

বারবার আলোচনার টেবিলে সমাধানসূত্র খুঁজছে নয়াদিল্লি। তবে এতে লজ্জা নেই চিনের।

ফের উত্তপ্ত ভারত (India) চিন (China) সম্পর্ক। কিন্তু সংঘর্ষ চাইছে না শান্তিকামী ভারত। তাই বারবার আলোচনার টেবিলে সমাধানসূত্র খুঁজছে নয়াদিল্লি। তবে এতে লজ্জা নেই চিনের। দুদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ১৩ তম কর্পস কমান্ডার স্তরের (13th round corps commander talks) বৈঠক করতে চলেছে ভারত (talks to be held in next few days)। পূর্ব লাদাখে সেনা অবস্থান নিয়ে সমাধান খুঁজতেই এই বৈঠক। তবে আদৌ এতে কোনও লাভ হবে কীনা, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

কারণ একদিকে ভারত যখন শান্তি ও সীমান্তে স্থিতাবস্থা চাইছে, তখন চিন এক সপ্তাহ আগে ভারত সীমান্তের খুব কাছে চলে এসেছিল (transgressions by the Chinese) বলে খবর। তখনই ভারতীয় সেনারা তাদের আটকে দেয়। কয়েকঘণ্টা দু'দেশের সেনা মুখোমুখি (face-off) দাঁড়িয়েছিল। পরে দুই তরফের কমান্ডারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও পক্ষের কোনও ক্ষতি হয়নি।

পূর্ব লাদাখের চলমান অচলাবস্থার সমাধান এবং হট স্প্রিংস এলাকায় সেনা অবস্থান নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আলোচনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারিখগুলি শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তিনি এর আগেও জানিয়ে ছিলেন খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশ বৈঠকে বসবে। 

সূত্র জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক অতীতে, চিনা সেনা আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত এলাকায় চিনা সেনার প্রবেশ ঘটেছে। সূত্রের খবর উত্তরাখণ্ডের বারহোতি এবং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে দেখা যায় চিনা সেনার গতিবিধি। কোনওরকমে সেখানে সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছে। 

এর আগে, সেনাপ্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন, তা বেশ উদ্বেগের। নতুন করে চিন কি কোনও চাল চালছে, প্রশ্ন উঠছে। এমনকী ভারতে সীমান্ত পেরিয়ে চিনা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত তার এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে। চিনা সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে এলএসিতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করতে চাইছে। ভারত সতর্ক রয়েছে। কোনও রকম উস্কানিমূলক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। 

সংবাদসংস্থা এএনআইকে জেনারেল নারাভানে জানান, গত ছমাস ধরে ভারত চিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ভারতের তরফ থেকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় অপর পক্ষ সেই আলোচনার পথ বন্ধ করে দেবে না। সেপ্টেম্বর মাসেই দুই দেশ ১২ তম বৈঠকে বসে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৩তম বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

"