সংক্ষিপ্ত
কয়েকঘণ্টা দু'দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। পরে দুই তরফের কমান্ডারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও পক্ষের কোনও ক্ষতি হয়নি।
অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) প্রায় ২০০ চিনা সেনাকে আটকে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সূত্রের খবর, লাইন অফ কন্ট্রোলের (Line Of Control) খুব কাছে চলে এসেছিল চিনা ফৌজ (Chinese troops)। তখনই ভারতীয় সেনারা তাদের আটকে দেয়। কয়েকঘণ্টা দু'দেশের সেনা মুখোমুখি (face-off) দাঁড়িয়েছিল। পরে দুই তরফের কমান্ডারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও পক্ষের কোনও ক্ষতি হয়নি। এক সপ্তাহ আগে অরুণাচল সীমান্তে এই ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে সেখানে শান্ত রয়েছে পরিস্থিতি। তা সত্ত্বেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা রুটিন মহড়া দেওয়ার সময়ই সীমান্তের খুব কাছে চিনা সেনাকে চলে আসতে দেখেছিলেন তাঁরা। তবে তারা আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। সেখানেই তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সেনার তরফে।
লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে বিবাদ জারি রয়েছে। তবে ভারতের আশা, চিন পূর্ব লাদাখ সীমান্তে অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবে ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে চলবে। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, "চিনের তরফে উস্কানিমূলক আচরণ এবং একতরফা পদক্ষেপের ফলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের আশা যে চিন পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করবে এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রটোকলগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলবে।"
আরও পড়ুন- অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রী, অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন হেমন্ত সোরেন
আরও পড়ুন- কোয়ারেন্টাইনে 'না', ভারতের চাপের কাছে পিছু হেঁটে নতুন নির্দেশ ব্রিটেনের
অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও ভারতের সঙ্গে চিনের সমস্যা রয়েছে। এই সীমান্ত ১ হাজার ১২৬ কিমি দীর্ঘ। অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে বেজিং। যদিও ভারতের তরফে তার বিরোধিতা করা হয়েছে। এর আগে গতবছর সীমান্ত বিবাদের জেরে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। সেই ঘটনায় ভারতীয় সেনার প্রায় ২০ জন সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। চিনা সেনারও প্রায় ৪০ জনের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সেই সংঘর্ষের পর থেকেই ভারত সংলগ্ন বিভিন্ন সীমান্ত সেক্টরে শক্তি বাড়ায় চিন। এদিকে লাদাখ থেকে একাধিকবার চিনকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেখানে সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। কয়েকদিন আগে চিনা ফৌজ উত্তরাখণ্ডেও সীমান্ত পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় ভারতীয় সেনা। তবে জওয়ানদের পৌঁছানোর আগেই ভারতীয় ভূখণ্ড ত্যাগ করেছিল তারা।