সংক্ষিপ্ত

কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতের সঙ্গে ১২ তম সামরিক বৈঠক করতে চায় চিন। তবে এই তারিখে বৈঠকে বসতে একেবারেই রাজি নয় ভারত।

কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতের সঙ্গে ১২ তম সামরিক বৈঠক করতে চায় চিন। তবে এই তারিখে বৈঠকে বসতে একেবারেই রাজি নয় ভারত। সাফ সেকথা জানানো হয়েছে বেজিংকে। নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে কোনও ভাবেই জুলাই মাসের ২৬ তারিখ সামরিক বৈঠক সম্ভব নয়। কারণ সেদিন ভারতীয় সেনা কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনে ব্যস্ত থাকবে। 

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ১২তম সামরিক বৈঠকে দুদেশের মধ্যে ডেপসাং, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলবে। সেনা সূত্রে খবর, এই বৈঠক চাইছে ভারতও। কিন্তু ২৬শে জুলাই কোনওভাবেই ভারতীয় সেনার শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে বসা সম্ভবনয় বলেই জানানো হয়েছে বেজিংকে। তবে এর পরে কবে বৈঠক হতে পারে, সে সংক্রান্ত কোনও তারিখ জানানো এখনও হয়নি। 

এদিকে, নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তরাখন্ড সীমান্তে চিনা সেনার গতিবিধি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর এবার উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিন। বারাহোটি এলাকায় রীতিমত বাড়ছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সংখ্যা। সূত্রের খবর এই এলাকায় বাড়ান হয়েছে টহলদারীও। 

সরকারি সূত্রের খবর চিনের প্রায় ৪০ জন সেনা জওয়ান সম্প্রতি বারাগোটি সংলগ্ন প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশ দিয়ে টহল দিয়েছে। এই এলাকায় দীর্ঘ দিন পরে পা পড়ল চিনা সেনার। সূত্রের খবর এই এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই ছিল চিনা সেনা জওয়ানরা। একই সঙ্গে ড্রোন আর হেলিকপ্টার দিয়েও নজরদারি চালান হয়েছে বলেও সেনা সূত্রের খবর। চিনাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।

 

সূত্রের খবর সেনা কর্তারা মনে করছে অবিলম্বে এই এলাকায় আরও সেনা সমাবেস করতে পারে চিন। আর সেই কারণে এই এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। দিন কয়েকের মধ্যেই চিনা সেনাদের কার্যকর বারাহোটি এলএসি এলাকায় দেখা যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। ভারতের বারাহোটির উল্টোদিকেই শাচেক শহরে নতুন বিমান ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। সেই ঘাঁটিতে আনা হয়েছে প্রচুর যুদ্ধের সরঞ্জাম। বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধ বিমানের সংখ্যাও। একটি সূত্র বলছে সেখান থেকেই ড্রোনের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকায় নজরদারি চালান হচ্ছে।