সংক্ষিপ্ত
গত ছয় মাস ধরে ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল তার সৎ বাবা। অথচ সেই নাবালিকার কোনও অভিযোগই তার মা শুনতে চাননি।
গত ছয় মাস ধরে ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল তার সৎ বাবা। অথচ সেই নাবালিকার কোনও অভিযোগই তার মা শুনতে চাননি। বিশ্বাস করেননি নিজের মেয়ের কথা। ফলে সেই সুযোগে দিনের পর দিন মাসের পর মাস সৎ বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছিল মেয়েকে। অবশেষে রবিবার সেই দৃশ্য দেখে ফেলে মেয়েটির ১০ বছরের ভাই। তার চিৎকারে ছুটে আসে পাড়া প্রতিবেশী।
অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার ভেঙ্কটাগিরি শহরের বাসিন্দা ওই নাবালিকার মা তার দুই সন্তানকে নিয়ে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। ওই ব্যক্তিও তার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর ওই মহিলাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই অত্যাচারের শুরু। গত ছয় মাস ধরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। রবিবার আচমকাই গোটা বিষয়টি দেখে ফেলে ১০ বছরের ছেলে। তারপরেই সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে সে। ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসতেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে একাধিকবার মায়ের কাছে যৌন নির্যাতনের কথা বললেও, তা বিশ্বাস করতে চাননি মা। পরে স্থানীয় মহিলা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্টের কর্মীরা। পকসো আইনের ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।