সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্ত ১৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে
আক্রান্তের ক্রমতালিকায় মহারাষ্ট্র শীর্ষে
আক্রান্তের হার ব্রাজিল ও আমেরিকার থেকেও বেশি
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে মৃত্যুর হার অনেক কম
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬ হাজার ৩৮০ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বুধবার সকালে নিয়মফামিক দেশে আক্রান্তের সংখ্যা জানাবে। তবে সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জানিয়েছে মহামারী এখনও ত্বরান্বিত হচ্ছে এই দেশে। গত কয়েক দিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যার গড় ৫০ হাজারের আশে পাশে ছিল। গত ১৬ই মে এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পার করেছিল। কিন্তু তারপর মাত্র ১৮১ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
গত সাত দিনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই দেশে আক্রান্তের হার ৩.৬ শতাংশ। যা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিলের তুলনায় কিছুটা বেশি। আমেরিকায় আক্রান্তের হার ১.৭, আর ব্রাজিলে ২.৪ শতাংশ। এই হার যদি অবিলম্বে কমানো না যায় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে প্রথম স্থান দখল করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও গতকালই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত অনেকটাই ভালো জায়গায় রয়েছে। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে মহামারীর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি অন্ধ্র প্রদেশ আর কর্নাটকেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
অন্যদিকে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে করোনাভাইরাসে কেস ফ্যাটিলিটি রেট ২.২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা বিশ্বের নিম্নতম বলেও দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি করোনা স্বাস্থ্য বিধি জারি করায় তা সম্ভবপর হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান, আইসোলেশন জোন তৈরি করার কারণেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।