সংক্ষিপ্ত

পূর্ব লাদাখে LAC-র কাছে ন্যোমা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড তৈরি। ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই এয়ারবেস ভারতের কৌশলগত সক্ষমতা বাড়াবে এবং চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।

চিন সীমান্ত LAC (Line of Actual Control)-এর কাছে পূর্ব লাদাখের মুধ-ন্যোমায় অবস্থিত এয়ারবেস প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ বিমানবন্দর। এর কৌশলগত গুরুত্ব এত বেশি যে চিনের চোখে যেন কাঁটা।

মুধ-ন্যোমায় তৈরি ন্যোমা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (ALG) প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি LAC-র কাছেই। এখন এখানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান অবতরণ করতে পারবে। এর ফলে ভারত LAC-তে দ্রুত সেনা ও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারবে। এটি এই অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত সক্ষমতা বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ন্যোমা ALG-র রানওয়ে

ন্যোমা ALG-তে তিন কিলোমিটারের নতুন রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে সেনা ও অস্ত্র বহনকারী বড় বিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান পর্যন্ত অবতরণ করতে পারবে। এই প্রকল্পটি ২০২১ সালে প্রায় ২১৪ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বিমানবন্দরের উচ্চতা এবং LAC-র নিকটবর্তী অবস্থান এটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। এর ফলে ভারত তার উত্তর সীমান্তে আগের চেয়ে আরও দ্রুত সৈন্য ও অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে। এর ফলে বিমান বাহিনী দুর্গম, পাহাড়ি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সরাসরি পৌঁছাতে পারবে। এই এলাকায় সড়কপথে সরবরাহ করা কঠিন।

 

 

চিন সীমান্তে অবকাঠামো উন্নয়নে জোর

উল্লেখ্য, ভারত সরকার চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এই লক্ষ্যেই মুধ-ন্যোমা ALG নির্মাণ করা হয়েছে। চার বছর আগে গালওয়ানে LAC-তে চিনের সাথে সংঘর্ষের পর লাদাখ ও আশেপাশের অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন সড়ক, সুড়ঙ্গ এবং সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর সাহায্যে সব ঋতুতে সড়ক যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে দুটি বিতর্কিত অঞ্চল ডেমচোক এবং দেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তির পর এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। সেনা প্রত্যাহারের পর এলাকায় টহল পুনরায় শুরু হয়েছে।