সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে
- শীতকাল ও উৎসবের মরশুমে বাড়তে পারে সংক্রমণ
- সতর্ক করল বিশেষজ্ঞ কমিটি
- মহামারি রাশ টানা যেতে পারে ফেব্রুয়ারিতে
গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিক থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত। সংক্রমণ রুখতে কঠোর লকডাউন পালন করেছে গোটা দেশ। কিন্তু এখনও সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছেছিল দেশ, যখন দৈনিক সংক্রমণের গড় ছিস ৯০-৯৫ হাজার। তবে চলতি মাসের গোড়া থেকেই ধীরে ধীরে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকা জানিয়েছেন, এইভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর গোড়ার দিকে সংক্রমণের রাশ টানা সম্ভব হতে পারে। তবে তার জন্য তাঁরা একটি শর্তও দিয়েছেন, বলছেন শীতের শুরু আর উৎসবের মরশুমে দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করেই চলতে হবে। তাঁদের মতে সামান্যতম শিথিলতাও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিসংখ্যন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা এখন থেকে সাবধান করে বলেছেন,
- উৎসবের মরশুমে সতর্কতা অবলম্বন করা না হলে ভারতে এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে যেতে পারে। আক্রান্তের সংখ্যা মাতে ২৬ লক্ষ পর্যন্তও হতে পারে।
- কেরল, রাজস্থান, ছত্তিশগড় আর পশ্চিমবঙ্গে এখন থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় আর তৃতীয় তরঙ্গে শীতকালে আস্বীকার করা যাবে না।
- স্থানীয়ভাবে লকডাউন এখন কার্যকর নয়। তবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে লাকডাউন না হলে মৃতের সংখ্যা ২৫ লক্ষ পার করে যেত। বর্তমানে দেশে মৃতের সংখ্যা ১.১৪ লক্ষ।
- এখনও পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্রা ৩০স শতাংশই আনক্রম্যতা বিকাশ করতে পেরেছে।
- গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারত করোনাভাইরাসের চূড়া দেখেছিল। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সংক্রমণের মাত্রা কমছে।
- ২০২১ সালের গোড়ার দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হ্রাস টানা যেতে পারে। তবে সেই সময় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হবে ১০৫ লক্ষ বা ১০.৫ মিলিয়ন।
- অভিবাশী শ্রমিকদের কারণে দেশে সংক্রমণ খুব বেশি ছড়ায়নি।
- উত্তর ভারতে দূষণের কারণে আগামী দিনে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের কমিটি এখনও মনে করছে যে বড়বড় সমাবেশ বা জমায়েত থেকেই করোনাভআইরাসের সংক্রমণ দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা তুলে ধরেছেন কেরলের ওনম উৎসবকে। তাঁদের মতে ওনমের পরই কেরলে আবার নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তাই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আসন্ন উৎসবের মরশুমে দেশের সতর্ক থাকার কথাই বলেছেন তাঁরা।