কষক আন্দোলন নিয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্য  কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা আন্দোলন নিয়ে  লাল কেল্লার ঘটনার সঙ্গে তুলনা ক্যাপিটাল হিলের  সমস্যা সমাধানে ভারত চেষ্টা করছে বলেও জানান হল   

কৃষক আন্দোলন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মন্তব্যের বিষয় নোট নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব একথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তাদের সম্পর্ণরূপে এজাতীয় মন্তব্য দেখা জরুরি। ভারত মার্কিন উভয় দেশই গণতন্ত্রের ওপর ভত্তি করে চলে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্ত জানিয়েছেন, কৃষি সংস্কারে ভারত যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

Scroll to load tweet…

মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি ঐতিহাসিক লালকেল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে তুলনা করা চলে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলের ঘটনা। সেদিন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ভাঙচুর চালিয়েছিলেন ক্যাপিটাল হিলে। তবে মার্কিন যুক্তরষ্ট্র আন্দোলনস্থলগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে আবারও যাতে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে তারজন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তথ্যের অধিকার যে কোনও গণতন্ত্রের হলমার্ক। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, যে কোনও প্রতিবাদ অবশ্যই ভারতের গণতান্ত্রিক নীতি ও শালীনতা ও সরকারের চলমান প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা হবে। আর কৃষি ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধেন জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষক গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনকে শিখ ফর জাস্টিট বা রেফারেন্ডাম ২০২০ বিষয়গুলির তদন্তের জন্য আইনি সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, কৃষকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে সমালোচনা করা হয়েছে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার। যদিও ভারতের কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কৃষি ক্ষেত্রে ভারতের বাজার উন্মুক্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে তারা।