সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমল 
  • চলতি সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী
  • সুস্থতার হারও আশা জাগাচ্ছে 
  • নতুন নির্দেশিকা গুজরাত সরকারের 

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের গ্রাফ কী এবার নিম্নগামী হবে। চলতি সপ্তাহে কিছুটা হলেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া আক্রান্তের পরিসংখ্যন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ৪৯৬। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লক্ষ ৬ হাজার ১৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৬৪ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিক হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪৯০ জনের। গতকালও দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজারের বেশি। বেশি ছিল মৃতের সংখ্যাও। 


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। শুক্রবার দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৯৩ হাদার ৫৯২। গতকালের তুলনায় কিছুটা হলেও কম।   এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৫৯ লক্ষের বেশি। আশা জানিয়েছে সুস্থতার হারও। মৃত্যুর হার যেখানে ১.৫১ শতাংশ সেখানে সুস্থতার হার ৮৫.৫২ শতাংশ।  চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। কারণ অগাস্ট মাস থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের দৈনিক গড় ছিল ৯০ হাজারের কাছাকাছি। আর চলতি সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের দৈনিক গড় ৭০-৭৫ হাজারে নেমেগেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই করতে জারি করা হয়েছিল লকডাউন। সেই লকডাউনের ১৯৫ দিনে পা দিয়ে অনেক কিছুই স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এখনও জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবুও সংক্রমণের আশঙ্কায় এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকরা ভিড় এড়িয়ে যেতেই পরামর্শ দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে উৎসবের মরশুমেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গুজরাত সরকার। জানান হয়েছে সংক্রমণের রুখতে নবরাত্রিরের সময় গর্বায় ২০০ বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না। কোনও বদ্ধ স্থানে নবরাত্রিরের পুজো করা যাবে না। প্রকাশ্য স্থানে উন্মুক্ত প্যান্ডেলে পুজো করতে হবে বলেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।