সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর G20-তে আসা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত ইন্দোনেশিয়া থেকে G20 সভাপতিত্ব নিতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ভারত ক্রমাগত ইন্দোনেশিয়াকে সাহায্য করেছে, এবং ইন্দোনেশিয়া সরকারও ভারতের সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দেয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ই নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন। চলতি বছর ভারত পয়লা ডিসেম্বর থেকে গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। জেনে নেওয়া প্রয়োজন এই বছর ভারতের সভাপতিত্ব নয়াদিল্লির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মনোজ কুমার ভারতী বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর সংক্ষিপ্ত হতে পারে তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।

কারণ ২০২৩ সালের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের G20 চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর G20-তে আসা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত ইন্দোনেশিয়া থেকে G20 সভাপতিত্ব নিতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ভারত ক্রমাগত ইন্দোনেশিয়াকে সাহায্য করেছে, এবং ইন্দোনেশিয়া সরকারও ভারতের সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দেয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিশ্ব। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্বের লোগো এবং ওয়েবসাইটটি চালু করেছেন, যা গোটা বিশ্বের কাছে ভারতকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

ঐক্য থিম

ভারতের G20 প্রেসিডেন্সির থিম হল "বসুধৈব কুটুম্বকম" বা "এক পৃথিবী এক পরিবার এক ভবিষ্যত"। সেই প্রেক্ষাপটে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে ঐক্যের চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরবেন জি-২০-র আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ১ ডিসেম্বরই ইন্দোনেশিয়ার থেকে G20 গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে ভারত। এক বছরের জন্য সভাপতির পদটি থাকবে ভারতের হাতে। এই উপলক্ষে আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে G20 সম্মেলন। এই G20 আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন বিশ্বের এমন এক অস্থির সময়ে ভারত জি-২০-র সভাপতিত্ব নিচ্ছে, যা দেশকে রাজনৈতিক দিক থেকে চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরবে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন ভারতের লোগো সারা বিশ্বের মানুষের আশা ও ভরসার প্রতীক হিসেবে পদ্মফুলের আকারে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভরসার এই পদ্ম নিশ্চয়ই ফুটবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী শীর্ষ সম্মেলনের পাশে বেশ কয়েকজন নেতার সাথে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তবে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি।

কোয়াত্রা বলেন, মোদী G20 সম্মেলনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে অংশ নেবেন - খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং স্বাস্থ্য - এবং তিনি এবং অন্যান্য নেতারা বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা সহ সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতার মূল বিষয়গুলির উপর ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন। শক্তি, পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে এবার চলবে আলোচনা।

আরও পড়ুন

'ভারতের দিকে কুনজর দিলে আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব', আবারও হুঁশিয়ারি রাজনাথের

তুরস্কের রাজধানীর জনবহুল রাস্তায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, ফুটেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়