সংক্ষিপ্ত
বামেরা পেতে পারে ৬ থেকে ১১টি আসন। তিপরা মোথার ঝুলিতে যেতে পারে সম্ভাব্য ৯ থেকে ১৬টি আসন। অন্যান্যরা আপাতত খালি হাতেই মাঠ ছাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ত্রিপুরার ক্ষমতায় ছিল সিপিআই(এম)। ২০১৮ সালে বিজেপির হাতে ক্ষমতা হারাতে হয় বামেদের। গত নির্বাচনে বিজেপি ৬০এর মধ্যে ৩৬ টি আসন দখল করেছিল। ত্রিপুরা দখলের ম্যাজিক ফিগার ৩১। এবার কি হতে চলেছে। ইন্ডিয়া টুডের এক্সিট পোল বলছে পদ্ম শিবিরের পালে হাওয়া লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া টুডে এক্সিট পোলে ম্যাজিক ফিগার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির। ইন্ডিয়া টুডে এক্সিট পোল ২০২৩ বলছে ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪৫টি আসন। বামেরা পেতে পারে ৬ থেকে ১১টি আসন। তিপরা মোথার ঝুলিতে যেতে পারে সম্ভাব্য ৯ থেকে ১৬টি আসন। অন্যান্যরা আপাতত খালি হাতেই মাঠ ছাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিপিআই(এম) মাত্র ১৬টি আসনে জয় পেয়েছিল। পুরনো আসনগুলি ধরে রাখতে মরিয়া বামেরা। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের আশা জোট করে আরও ১৩টি আসন তারা পেয়ে যাবে। ত্রিপুরা নির্বাচনে এবার বড় ফ্যাক্টর টিপরা মোথা। যাদের দাবি বৃহত্তর টিপরাল্যান্ড। দলের প্রধান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাই তাদের মূলত ভোটব্যাঙ্ক। ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এই দল।
টিপরা মোথার সঙ্গে প্রথমে জোট করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবির পিছিয়ে আসে। আপাতত একাই ভোট ময়দানে টিপরা মোথা। তবে এই দল নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। সরকার গঠনের সময় বাম বা গেরুয়া যে শিবিরেই যাবে তাদের লাভ বেশি। ত্রিপুরায় দারুনভাবে খাতা খুললেও পরবর্তীকালে ভোট যুদ্ধে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস ছড়ে কয়েক জন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেও পরে তারা দল বদল করে। যাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িছে। যদিও বাম ও বিজেপি দুই শিবিরের অভিযোগ ত্রিপুরায় ভোট কাটার দল তৃণমূল।
সব মিলিয়ে এখানে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। পাঁচ বছর আগে মসনদ হারানো সিপিএমও এবার এককালের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। এই অবস্থায় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে টিরপা মোথা।