সংক্ষিপ্ত
- কেরলের বন্যা-বিপর্যস্তদের উদ্ধারে বায়ুসসেনার বিল ১১৩ কোটি
- অব্যাহতি পেতে কেন্দ্রকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
- এখনও ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণ পূরণ করে ওঠা সম্ভব হয়নি
- তার মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করা অসম্ভব
গত বছরে কেরলের বন্যার ভয়াবহ ছবি এখনও অনেকের মনে স্পষ্ট। ২০১৮-র বন্যায় কেরলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল একাধিক গ্রাম। বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন প্রায় অসংখ্য মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই হয়েছিল অগণিত মানুষের। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ার পথে, একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সেখানকার মানুষ।
আর এই সময়েই আবারও কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ল কেরল সরকারের ওপর। বন্যার পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল লাগিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি বায়ুসেনা আধিকারিকরাও। আর এবার বায়ুসসেনার তরফে উদ্ধারকার্যের জন্য বিল পাঠানো হল কেরল সরকারের কাছে। উদ্ধারকার্যে খরচ বাবদ প্রায় ১১৩.৬৯ কোটি টাকার বিল পাঠিয়েছে বাসুসেনা।
আর এরপরই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর দ্বারস্থ হল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বায়ুসেনাকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে অপারগ বলেই চিঠি লেখেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বন্যায় হওয়া ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য ইতিমধ্যেই ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই ক্ষয় ,সম্পূর্ণরূপে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না,তার ওপর বায়ুসেনার এই বিপুল পরিমাণ বিল কীভাবে মেটানো সম্ভব সেই নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই তিনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্কে যাতে কম করা যায় সেই দিকটি ভেবে দেখতে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পর্যদের তহবিল থেকে প্রায় ২৯০৪ কোটি টাকা ত্রাণ পেয়েছে কেরল, তবে তা মোট ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় কিছুই নয়। আর সেই কারণেই বায়ুসেনার এই বিপুল পরিমাণে টাকার অঙ্কে কাটছাঁট করার আবেদন জানিয়েছে কেরল সরকার।