সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ফ্রন্ট লাইন সৈন্যদের জন্য ৪৭,৬২৭ টি অত্যাধুনিক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আনতে চলেছে ।জানা গিয়েছে যে এই জ্যাকেটটি ৭.৬২ আর্ম পিয়ারসিং রাইফেল থেকে সেনাদের সুরক্ষা দেবে ।

ভারতীয়  প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এর আগেও তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রমান করেছে যে তারা বিশ্বের যেকোনো সুরক্ষা মন্ত্রকের থেকে বেশি শক্তিশালী।  সেই ধারা অব্যাহত বরাখতেই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ফ্রন্ট লাইন সৈন্যদের জন্য ৪৭,৬২৭ টি অত্যাধুনিক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আনতে চলেছে। এই বছরই নভেম্বরে বিক্রেতাদের কাছে এই অত্যাধুনিক জ্যাকেট বানানোর নির্দেশ জারি করা হবে।  সূত্রের খবর এই জ্যাকেটের ৬০ শতাংশই নাকি তৈরী হবে দেশীয় সামগ্রী দিয়ে। 

কিভাবে জ্যাকেটটি বানাবেন বা জ্যাকেটটির কি কি গুণসম্পন্ন হতে হবে সে সম্পর্কে ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হবে।  তবে জানা গিয়েছে যে এই জ্যাকেটটি ৭.৬২ আর্ম পিয়ারসিং রাইফেল থেকে সেনাদের সুরক্ষা দেবে এছাড়াও ১০ মিটার দূর থেকে ছোড়া ইস্পাত থেকেও রাখা করতে সক্ষম এই জ্যাকেট। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলির ওজন হবে ১১ কেজি। এমনভাবে ডিসাইন করা হবে যাতে খুব সহজেই পরিধানের মতো পরে সৈন্যরা এটাকে বহন করতে পারে।প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে এই জ্যাকেট ব্যবহারকারীদের গলা বুক পেট, পিঠ ও কুঁচকি পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করবে।  অর্থাৎ পুরো ধরকেই আবৃত করে রাখবে। 
 বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি যে ফেব্রিক দিয়ে তৈরী হব  সেটিকে অবসসই ওয়াটারপ্রুফ হতে হবে। জ্যাকেটটি ক্যামোফ্লাজ প্যাটার্নে বানানো হবে যাতে প্রচন্ড সূর্যের এল বা ধোয়ার সংস্পর্শে এলে এতো বিবর্ণ হয়ে যায়।বিশেষজ্ঞদের মোতে এটি এমন উপাদান দিয়ে বানানো হবে যাতে , এটিকে  দীর্ঘ পাঁচ বছর এটি রোদে জলে ফেলে রাখলেও এটির  কিছু হবে না। এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যেও এটি কাজ করতে সক্ষম হবে। ।

জুলাই মাসে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল বাই (ইন্ডিয়ান আইডিডিএম) এবং বাই (ভারতীয়) বিভাগের অধীনে ২৮৭৩২ কোটি টাকার ঝাঁক ড্রোন, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং কার্বাইন সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।