সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস ক্রমাগত শুধুমাত্র আদানি ইস্যু উত্থাপন করায় তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বর্জন করেছে।
আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদের উভয় কক্ষ পঞ্চম দিনের মতো অচল। কংগ্রেস ক্রমাগত শুধুমাত্র আদানি ইস্যু উত্থাপন করায় তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বর্জন করেছে। সংবিধানে দুই দিনের আলোচনা করলে বিক্ষোভ থেকে সরে আসবে বলে কংগ্রেস জানালেও সরকার কোনো গুরুত্ব দেয়নি।
আদানি, মণিপুর, ওয়াইনাড়, সাম্বল, ফিঞ্চাল ঝড়ে তামিলনাড়ুকে সাহায্য, কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে লোকসভায় জরুরি প্রস্তাব এবং রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি জানানো হলেও শুধুমাত্র আদানি ও মোদি বিরোধী স্লোগান শোনা গেছে। বিরোধীদের বিক্ষোভ উপেক্ষা করে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে যাওয়ার চেষ্টা করলে কংগ্রেস সাংসদরা স্লোগান দিয়ে মাঠে নেমে আসেন। স্পিকার ওম বিড়লা তাদের ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও বিরোধীরা তা শোনেননি। সংসদ স্থগিত হয়। বারোটায় পুনরায় সংসদ শুরু হলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরবর্তীতে সংসদ কালকের জন্য স্থগিত করা হয়। ভারত-চীন ইস্যুতে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের লোকসভায় দিতে থাকা বিবৃতিও স্থগিত করা হয়েছে। রাজ্যসভায়ও চেয়ারম্যান আলোচনার অনুমতি দেননি। বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করে জগদীপ ধনখড় রাজ্যসভা কালকের জন্য স্থগিত করেন।
শুধুমাত্র আদানি ইস্যুতে বিক্ষোভ, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বর্জন করেছে তৃণমূল
আদানি ইস্যুতে কংগ্রেস প্রতিদিন সংসদ অচল করে দেওয়ায় ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ইস্যুর সাথে সাথে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং অন্যান্য সমস্যা উত্থাপন করার জন্য মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বর্জন করে তৃণমূল সংসদে বিক্ষোভেও অংশ নেয়নি। এনসিপিরও এ বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। জোট সঙ্গীদের বিরোধিতার পর কংগ্রেস সংবিধান নিয়ে হলেও আলোচনা চায়। এই দাবিতে স্পিকারের সাথে তারা সাক্ষাৎ করলেও কোনো সুফল পায়নি। আলোচনা ছাড়াই হট্টগোলের মধ্যে বিভিন্ন বিল পাস করা যাবে বলে সরকারও এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।