চন্দ্রযান-২ নিয়ে নতুন করে জেগে উঠল আগ্রহনাসার নতুন করে তোলা ছবি ঘিয়ে তৈরি হচ্ছে আশাবড় দাবি করলেন বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া প্রযুক্তি কর্মীইসরো কী বলছে এই বিষয়ে

চাঁদের কক্ষপথে এখনও ঘুরে চলেছে চন্দ্রযান-২'এর অরবাইটর। তবে তার ল্যান্ডার চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে ভেঙে গিয়েছিল ইসরো-র চাঁদের বুকে নেমে গবেষণা চালানোর আশা। সেই ব্যর্থতার পর প্রায় ১০ মাস কেটে গিয়েছে। ভারতের সাধারণ মানুষের মনে চন্দ্রযান-২ নিয়ে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, তা এতদিনে আনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ করেই ফের একবার আলোচনা উঠে এল চন্দ্রযাণ-২। আর তার কারণ চন্দ্রযান-২'এর রোভার 'প্রজ্ঞান'। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র প্রকাশিত নতুন ছবিগুলিতে প্রজ্ঞান রোভাব়-কে অক্ষত অবস্থাতেই দেখা গিয়েছে বলে নতুন করে দাবি উঠল।

শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ সেই যোগাযোগ পূনঃস্থাপনের চেষ্টা করেছিল নাসা। নাসা, বিক্রম ল্যান্ডারের ল্যান্ডিং সাইটের ছবি তুলে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিল। এরপরই চন্দ্রপৃষ্ঠে, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারকে খুঁজে বের করেছিলেন চেন্নাইয়ের এক তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী তথা মহাকাশবিজ্ঞানে উত্সাহী শানমুগা সুব্রামনিয়ন। শানমুগা-ই নাসার প্রকাশিত সাম্প্রতিক ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের বুকে সম্ভবত এখনও 'অক্ষত' অবস্থায় রয়েছে। একাধিক টুইট করে, নাসার ছবিগুলিতে চিহ্নিক করে তিনি দাবি করেছেন, প্রজ্ঞান শুধু অক্ষতই নেই, বিক্রম ল্যান্ডারের ভাঙা টুকরো গুলোর থেকে বেশ কয়েক মিটার সরেও গিয়েছে।

Scroll to load tweet…

এর থেকেই তিনি মনে করছেন, সম্ভবত পৃথিবী থেকে ইসরো যেসমস্ত নির্দেশ বিক্রম ল্যান্ডার-কে দিয়েছে, সেগুলি ল্যআন্ডার মারফত প্রজ্ঞান রোভার-এর কাছেও পৌঁছেছে এবং সেইমতো সে কাজও করেছে। কিন্তু, হার্ড ল্যান্ডিং-এ ভেঙে টুকরো হয়ে যাওয়ার ফলে বিক্রম ল্যান্ডার আর পৃথিবীর সঙ্গে পাল্টা যোগাযোগ করতে পারেনি।

Scroll to load tweet…

গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর নাসার লুনার রিকনসান্স অরবিটর ক্যামেরা টিম বিক্রমের ল্যান্ডিং সাইটের প্রথম ছবিটি প্রকাশ করেছিল। ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই ছবি দেখে শানমুগা সুব্রামণিয়ন বিক্রমের ধ্বংসস্তূপ সনাক্ত করেছিলেন। নাসা-কে তিনি তাংর আবিষ্কারের কথা জানিয়েছিলেন। আর তারপরই এলআরও দল তাঁর আবিষ্কার-কে নিশ্চিত করেছিল। এইবারও শানমুগা তাঁর সন্ধান নাসা এবং ইসরো দুই সংস্থাকেই জানিয়েছেন।

Scroll to load tweet…

ইসরো-র চেয়ারম্যান কে শিবন, জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ভারতীয় সংস্থাকে নাসা এখনও কিছুই জানায়নি। তবে, শানমুগা-র কাছ থেকে তাঁরা এই সম্পর্কে একটি ইমেল পেয়েছেন। ইসরো-র বিশেষজ্ঞরা এখন তাঁর দাবিটি খতিয়ে দেখছেন। এখনও এই বিষয়ে ইসরো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।