সংক্ষিপ্ত

  • তথ্যই কথা বলছে।
  • জানা যাচ্ছে, মদ্যপানের বহরে উন্নত দেশগুলিকে হারিয়ে দিচ্ছে ভারত।
  • গোটা বিশ্বে মদ্যপানের বহর বৃদ্ধির মূল দায় ভারত ও চিনের। 

মদ্যপানে মশগুল ভারতীয়রা। যখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের মত সংবেদনশীল বিষয়গুলিতে ভারতবর্ষে নানা ধরণের প্রশ্ন উঠছে, তখনই তথ্য কথা বলছে। জানা যাচ্ছে, মদ্যপানের বহরে উন্নত দেশগুলিকে হারিয়ে দিচ্ছে ভারত।

দ্যা লানসেট পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোচ ১৮৯ টি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা বিশ্বে মদ্যপানের বহর বৃদ্ধির মূল দায় ভারত ও চিনের। ১৯৯০ থেকে ২০১৭ এক মধ্যে বিশ্বে মদ্যপানের পরিমাণ বেড়েছে ১০ শতাংশ।  জানানো হচ্ছে আগামী এক দশকে মদ্যপান বাড়বে আরও ১৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষই মদ্যপান করবেন।

এ তো গেল বিশ্বের হিসেব। আর ভারতীয়রা?  রিপোর্টটি বলছে ভারতীয়রা গত সাত বছরে অতীতের তুলনায়  ৩৮ শতাংশ মদ্যপান করছে।  দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা গড়ে ৬ লিটার মদ্যপান করেন।  যা ১৯৯০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। এই মাত্রা ক্রমবর্ধমান।

প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দশ বছরে তাঁরা মদ্যপায়ীর সংখ্যা দশ শতাংশ কমাতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এই রিপোর্টটি বুঝিয়ে দিচ্ছে হু সেই কাজে সফল হবে না। হু এরই রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে প্রতিবছর মদ্য়পানের কারণে মারা যান  প্রায় ৩০ লক্ষ লোক।  সমীক্ষকদের অনুমান এই হিসেব বাড়বে বই কমবে না। 

ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অবশ্য এই সমীক্ষা কোনও আষাঢে গল্প না। এ কথা সত্যিই ঝড় জল দুর্যোগেও ভারতীয়রা মদ ছাড়া থাকে না। দেখা যাচ্ছে গত বছর অগস্ট মাসে যখন বন্যায় ভেসে গিয়েছিল কেরালা তখনও সেখানকার মানুষ ১২৬৪.৬৯ কোটি টাকার মদ পান করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরও আবগারি আয় বেশ ভালো। অর্থনীতির বিশ্লেষকরা মধ্যবিত্তের হাতে কাঁচা টাকা বেড়ে যাওয়াকেই মনে করছেন নষ্টের গোঁড়া।