সংক্ষিপ্ত

  • দৈনিক করোনা সংক্রমণে টানা ৫ দিন বিশ্ব রেকর্ড ভারতের
  • ৪২ লক্ষ পেরিয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • ফের দৈনিক আক্রান্ত ৯০ হাজারের বেশি মানুষ
  • তবে ভারতে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৭.৩২ শতাংশ

রবিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার পার করে গিয়েছিল। সেই রেকর্ড বজায় থাকল সোমবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৯০ হাজার ৮০২ জন। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বে একদিনে কোনও দেশে আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড। এই নিয়ে টানা ৫দিন দৈনির করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ভারত। এর সঙ্গেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লক্ষ ৪ হাজার ৬১৪। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রাজিলে সেখানে সংখ্যাটা ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২১।

 

 

রবিবার রাতেই ব্রাজিলকে পেরিয়ে করোনা সংক্রমণের বিশ্ব-তালিকার দু’নম্বরে উঠে গিয়েছে ভারত। ভারতে দৈনিক এক লক্ষ সংক্রমণ যে হতে পারে, করোনা-পর্ব শুরুর পরে সেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পরপর ২ দিনের দৈনিক পরিসংখ্যানের সৌজন্যে ওই ভবিষ্যদ্বাণী আর অসম্ভব ঠেকছে না। পাশাপাশি দৈনিক মৃতের সংখ্যা রবিবারও হাজারের উপরে থাকল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ১,০১৬ জনের। পলে দেশে মৃতের সংখ্যা বর্তামানে ৭১,৬৪২।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩২  লক্ষ ৫০ হাজার ৪২৯  জন। ফলে সক্রিয় রোগীয় সংখ্যা দেশে এখন ৮ লক্ষ ৮২  হাজার ৫৪২।   গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত ভারতে সুস্থতার হার ৭৭ শতাংশের বেশি । মৃত্যুহার ১.৭২ শতাংশে নেমেছে। মোট সংক্রমিতের মাত্র ২০.৯৬ শতাংশ এখন সক্রিয় রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৬৯,৬২৪ জন। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার গোটা দেশে ৭   লক্ষ ২০  হাজার ৩৬২ কোভিড টেস্ট হয়েছে। যা আগের দিনগুলিতে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় অনেকটাই কম।  সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৯৫  লক্ষ ৫১  হাজার ৫০৭ টি  নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। 

 

 

এখনও দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে এদেশে  সবার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মারাঠা রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজারের বেশি। আক্রান্তের নিরিখে দেশে প্রথম ৫ রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ। ষষ্ঠস্থানে রয়েছে দিল্লি। আর সপ্তমস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে প্রথম কয়েকটি রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অসম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ । সক্রিয় রোগীদের ২৪.৭৭ শতাংশ রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে সক্রিয় রোগী রয়েছে ১২.৬৪ শতাংশ। কর্ণাটকে সংখ্যাটা ১১.৫৮ শতাংশ। এদিকে করোনায় মৃতের মধ্যে ৩৭.৩৯ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। এর পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। 

এদিকে, সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর  থেকে দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন মহানগরে চালু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। যদিও সামাজিক দূরত্ববিধি  বজায় রেখে এবং কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে মেট্রো চলাচল করছে, তা সত্ত্বেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছেই। দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, লখনউয়ের মেট্রো স্টেশনগুলিতে সাতসকালেই যাত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন, গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য়। আনলক ফোর পর্বে যখন আরও স্বাভাবিকতার পথে এগোচ্ছে দেশ, সেখানে ফি দিন সংক্রমণের এই রেকর্ড চিন্তা বাড়াচ্ছে তো বটেই।  তবে সুস্থতার হার এবং ভ্য়াকসিন নিয়ে একাধিক সম্ভাবনায় আশা বাড়ছে।