সংক্ষিপ্ত
- কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে কোন্দলের তীব্রতা বাড়ল আরও
- দলের গুলাম নবি আজাদই এবার মুখ খুললেন প্রকাশ্যে
- যার জেরে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেস শিবিরে
- 'ফুল টাইম' সভাপতি পেতে ৬ মাসও অপেক্ষা করতে রাজি
কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে কোন্দলের তীব্রতা বাড়ল আরও। দলের 'সোনিয়া ব্রিগেডের' ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গুলাম নবি আজাদই এবার মুখ খুললেন প্রকাশ্যে। যার জেরে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেস শিবিরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া বার্তায় দলের বর্ষীয়ান নেতা আজাদ জানান, কংগ্রেসের 'ফুল টাইম' সভাপতি পেতে ৬ মাসও অপেক্ষা করতে রাজি তাঁরা। কোনও ভাবেই দলে ফের অন্তর্বর্তী সভাপতির পক্ষপাতী নন তিনি। রাজধানীর রাজনীতি বলছে, হাত শিবিরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা সোনিয়া-রাহুলরা। ২৩ জনের স্বাক্ষরিত চিঠি ইতিমধ্য়েই শোরগোল ফেলে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কংগ্রেসে গান্ধি পরিবারের বাইরে ভাবতে এবার আওয়াজ উঠেছে দলের অন্দরেই।
তবে সরাসরি হাইকমান্ডের বিরোধিতায় মুখ খুলছেন না কোনও নেতা। বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধার ঝুঁকি নিচ্ছেন একের পর এক কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা। তা সে কপিল সিব্বলই হোন বা গুলাম নবি আজাদ। সবার থেকে এক ধাপ এগিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে রাহুলের নাম এল কিনা তা নিয়েও মুখ খুলেছেন আজাদ। তিনি জানান,রাহুল গান্ধি কংগ্রেসের সভপতি হলেন কিনা তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাঁর। তিনি শুধু দলে একজন ফুল টাইম প্রেসিডেন্ট দেখতে চান।
চলতি মাসেই ২৩ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি গিয়েছে সোনিয়া গান্ধির কাছে। রাজধানীর রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তি বেড়েছে দশ জনপথ নিবাসীর। তবে সোনিয়া গান্ধি চাইলে স্বাক্ষর চিঠির কারণ অনুসন্ধান কমিটিতে থাকতে রাজি আজাদ। এককালে সোনিয়া গন্ধির আস্থাভাজন হলেও এখন গান্ধি শিবিরের বিরুদ্ধ হাওয়ায় গা ভাসিয়েছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের এই নেতা বলেছেন, 'কংগ্রেসে পূর্ণ সময়ের সভাপতি চাইছি আমরা। তা সে এ, বি, সি, ডি যেকেউ হতে পারে। কিন্তু দলে একটা কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি, রাজ্য় সভাপতি, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি ও সংসদীয় কমিটি থাকা উচিত। আমরা কেউ দলের সভাপতি হওয়ার জন্য় চিঠি দিইনি। '
দিল্লির রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, কদিন আগেই কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির বৈঠক হয়ছে। ২২ সদস্যের কার্যকরী কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন ৬০ কংগ্রেস নেতা। যা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন স্বাক্ষরকারীরা। তাদের দাবি, এই ৬০ জনের দলে অনেকেই স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য, বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। এরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ-নিমন্ত্রিত সদস্যরা। যা দলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।
তবে আজাদপন্থীদের এই চিঠি নিয়ে দলে সমালোচনা কম হচ্ছে না। যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন গুলাম নবি। তিনি বলেন,'কংগ্রেসে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অনেক নেতা কথা বলছেন, যারা দলের সংবিধান সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমনকী দল যখন ৩০-৪০ বছর আগে পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল,তখন এরা কেউ স্কুলে- তো কেউ জন্মই নেননি। তারা জানেন না আমরা কী ধরনের ত্য়াগ করেছি। তারাই এখন দলে আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। '
তবে এই কথা বলার পরও কংগ্রেসে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীকে। অনেকেই বলেছেন, রাজ্য়সভা থেকে অবসর নেওয়ার পর কর্ণাটকের নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। তা ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছেন গুলাম নবি। তাই তাঁর এত 'হম্বি তম্বি'। যদিও এ বিষয় পাল্টা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। তিনি বলেন, ' এই ধরনের কথা যারা বলছেন, তারা অত্যন্ত ছোট মনের মানুষ । তাঁরা গুলাম নবি আজাদকে চেনেনই না। '