সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মালদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি যাতে বজায় রাখতে পারে তার জন্য পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। কিন্তু তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি জারি করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। অন্যদিকে মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে ভারত দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে।
সূত্রের খবর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মালদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি যাতে বজায় রাখতে পারে তার জন্য পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমান পরিষেবা জরুরি। মালদ্বীপ ও ভারত একটি নির্দিষ্ট দিন বেছে নিতে আবারও আলোচনায় বসবে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই একটি আলোচনা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে। ভারতের বায়ু সেনার একাধিক বিমান মালদ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে।
মালদ্বীপ সূত্রের খবর, ভারত সেনা সরাতে রাজি হয়েছে। ভারত ও মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে চলমান প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ের কাজ দ্রুত করতে হবে। মালদ্বীপ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বার্তা অনুযায়ী মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছে। উন্নয়ন সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পাবলিক সেক্রেটারি আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম বলেছেন, 'ভারতীয় সামরিক কর্মীরা আর মালদ্বীপে থাকতে পারবে না। এটি রাষ্ট্রপতি ডক্টর মহম্মদ মইজ্জু ও প্রশাসনের নীতি।' মালদ্বীপে প্রায় ৪৪ হাজার ভারতীয় সেনা উপস্থিত রয়েছে। মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কটাক্ষ করেছিলেন। তাঁরা অশালীন মন্তব্যও করেছেন। তারপরই পাল্টা সরব হয় ভারতের নেটিজেনরা। যদিও তিন মন্ত্রীকে মালদ্বীপ সরকার বরখাস্ত করে। তবে পাশাপাশি সেই সময় মালদ্বীপ প্রশাসন জানিয়ে দেয় তারা ছোট দেশ হতে পারে, কিন্তু তাদেরকে ধমক দেওয়ার সাহস কারও নেই।