সংক্ষিপ্ত


রাত্রিবেলা হানা দিত একের পর এক মহিলাদের বাড়িতে

চুরি-ডাকাতি কিছুই নয় শুধু ছিঁড়ে দিত অন্তর্বাস

দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা ইন্দোরে রহস্যেই মোড়া ছিল

অবশেষে ছিঁড়ল সেই রহস্য়ের জাল

শীতল নগর, স্বর্ণা বাগ কলোনী, সুমন নগর এবং বিজয় নগর - মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের এই চার এলাকা থেকে গত কয়েক মাসে এক অদ্ভূত অপরাধের অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে। এইসব এলাকায় মহিলাদের হস্টেলে, কিংবা পেইং গেস্ট হাউসে কিংবা মহিলারা একা থাকেন এমন ফ্ল্যাটবাড়িগুলিতে কেউ বা কারা হানা দিচ্ছিল রাতের অন্ধকারে। কোনও চুরি-ডাকাতি নয়, কিংবা মহিলাদের অত্যাচার করাও নয়, শুধু ছিঁড়ে দিয়ে যাচ্ছিল মহিলাদের অন্তর্বাস। দু-একবার ভুক্তভোগী মহিলাদের ঘুম ভেঙে গেলেও, কেউ ধরা পড়েনি। তবে অবশেষে গত শুক্রবার ভেদ হয়েছে এই রহস্যের জাল।

ওই দিন গভীর রাতে বিজয়নগর থানায় ফোন এসেছিল স্থানীয় এক বাড়ি থেকে। ফোনে জানানো হয় তাঁদের প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িতে এক যুবককে গোপনে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। এরপরই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে চার পুলিশ কর্মকর্তা মোটরবাইকে করে ঘটনাস্থলে হাজির হন। ওি বাড়ি থেকে হাতে নাতে ধরা পড়ে শ্রীকান্ত নামে বছর ২৬-এর এক যুবক।

জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শ্রীকান্ত তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছে। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে মহিলাদের ঘরে ঢুকে কেন সে তাঁদের অন্তর্বাস ছিঁড়ত, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, এর থেকে আরও বড় কোনও অপরাধের মানসিকতা তৈরি হচ্ছিল তার মধ্যে বলে মনে করচে পুলিশ। এই বিষয়ে মনোবিদদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এটাই শ্রীকান্তের প্রথম অপরাধ নয়। এর আগে সে একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করত। সেইসময় তার বিরুদ্ধে চুরি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় সে গত এক বছর ধরে পলাতক ছিল। তারপর এই অন্তর্বাস ছেঁড়ার ঘটনায় অনেকদিন ধরে পুলিশ-কে নাকানি চোবানি খাইয়েছে সে। তাকে ধরার জন্য ওই এলাকাগুলিতে মহিলাদের আবাসস্থলের সামনের রাস্তায় রাতে সাাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল।