সংক্ষিপ্ত
“যে কর্মীরা গত ১২ মাসে ২টি সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সংস্থার সমস্ত যোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে,” জানালেন ইনফোসিসের সিইও সলিল পারেখ।
ইনফোসিস কম্পানি একসঙ্গে দু'টি কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সম্মতি দেয় না। বৃহস্পতিবার আবারও স্পষ্ট জানাল আইটি জায়ান্ট। খবরে উঠে আসা ‘মুনলাইটিং’ বিতর্ক প্রসঙ্গে মন্তব্য করল এই আইটি সংস্থা। ইনফোসিসের সিইও সলিল পারেখ মুনলাইটিং বিষয়ে বলেন, যে কর্মীরা গত ১২ মাসে ২টি সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সংস্থার সমস্ত যোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সলিল পারেখ আরও জানান, 'গিগ ওয়ার্ক'-এর (অতিরিক্ত কাজ করে অর্থ উপার্জন) ক্ষেত্রে ইনফোসিসের কর্মীদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি নিজস্ব পন্থা রয়েছে। অফিসের নির্দিষ্ট বেতনের বাইরে গিয়েও আরও বেশি কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাইলে, কর্মীরা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তা করতে পারেন। এর অর্থ হল, কম্পানির অন্দরেই ভিন্ন আরেকটি প্রোজেক্টে সাহায্য করে নথিভুক্ত মাইনের চেয়ে বেশি আয় করতে পারেন কর্মচারীরা। সিইও জানিয়েছেন, 'গিগ ওয়ার্ক' প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারী ৪ হাজার কর্মীদের মধ্যে ৬০০ জন ইতিমধ্যেই নিজেদের মূল কাজের বাইরে অতিরিক্ত বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
‘মুনলাইটিং’ কী? এটি হল, মূল কর্মসংস্থার অজান্তে বা সম্মতি ছাড়াই দ্বিতীয় কোনও কর্মসংস্থায় কাজ করা। সাধারণত মূল সংস্থার অফিস টাইমিং-এর পরেই কর্মীরা এটি করে থাকেন। কোভিডকালে লকডাউনের সময়ে ওয়র্ক ফ্রম হোম করাকালীন বাড়িতে থেকে অনেক বেশি সময় পাওয়ায় বহু আইটি কর্মী ‘মুনলাইটিং’ শুরু করেন। সম্প্রতি, অনেকগুলি ভারতীয় আইটি সংস্থা এই কাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সংস্থাগুলির যুক্তি হল, মুনলাইটিং করলে শুধুই যে কর্মীদের উৎপাদনশীলতার ক্ষতি হবে, তা নয়। আইটি-র ক্ষেত্রে যে ডেটাগুলি অত্যন্ত গোপন হয়, সেগুলিও অন্য সংস্থার কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই কাজের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে, ফলে, একই কর্মী দুটি সংস্থায় কাজ করলে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। ২০২২-এর সেপ্টেম্বর মাসে, ইনফোসিস একটি ইমেলের মাধ্যমে নিজস্ব কর্মীদের চুক্তির বাইরে গিয়ে দ্বিতীয় কোনও কাজ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। সেই সতর্কবার্তায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, এই ধরনের কাজ করলে তাঁদের চুক্তির ইতি ঘটবে।
উল্লেখ্য, উইপ্রো এবং টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থাও মুনলাইটিং-এ আপত্তি জানিয়েছে। উইপ্রো সংস্থার অন্দরে থেকে মুনলাইটিং করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, এমন ৩০০ কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দিয়েছে উইপ্রো। তবে, এবিষয়ে উল্লেখ্য যে, এর আগেও কম্পানির মন্দার কারণে হাজার হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল ইনফোসিস। আর্থিক চাপের কারণে চলতি বছরে কর্মচারীদের মাইনে থেকেও ব্যাপক কাটছাঁট করেছিল এই সংস্থা।
আরও পড়ুন-
বর্ণবিদ্বেষের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় একের পর ছুরির কোপে রক্তাক্ত ভারতীয় ছাত্র! এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়, কম্পন অনুভূত হল রাজস্থানেও!
আরও একবার বিশ্বসেরার তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বের সেরা ২% বিজ্ঞানীর মধ্যে ৪২ জনই জেইউ-এর শিক্ষক