সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদের ট্রেন দুর্ঘটনায় লোকাল ট্রেনের চালেকর মৃত্যু হয়েছে
- তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন
- ১১ নভেম্বর সকালে হায়দরাবাদের কাছে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়
- প্রায় আট ঘণ্টা ওই চালক নিজের কেবিনে বন্দি ছিলেন
তেলেঙ্গানায় হায়দরাবাদের কাছে একটি লোকাল ট্রেনের সঙ্গে এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে লোকাল ট্রেনের চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১১ নভেম্বর হায়দরাবাদে লিনগামপাল-ফলকনামার সঙ্গে কুরনুল সিটি-সেকেন্দ্রাবাদ হুন্ডরি এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। সেই সময় লোকাল ট্রেনের চালক আটকে পড়ে। উদ্ধারকর্মীদের তাঁকে উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়। অতি কষ্টে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় ওই চালককে। সেখানেই শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
গত সোমবার সকালে ট্রেনের সংঘর্ষে লোকাল ট্রেনের চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১১ নভেম্বর হায়দরাবাদে লিনগামপাল-ফলকনামার সঙ্গে কুরনুল সিটি-সেকেন্দ্রাবাদ হুন্ডরি নামের লোকাল ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আটঘণ্টা লোকাল ট্রেনের চালক গুরুতর আহত অবস্থায় আটকে ছিলেন। কোনওভাবেই তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিভিন্ন উদ্ধারকর্মীদের সংস্থার চেষ্টায় আট ঘণ্টা পরে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারের আগে পর্যন্ত তাঁর কাছে অক্সিজেন পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আটক অবস্থায় তাঁর কাছে উদ্ধারকর্মীরা পানীয় জল পাঠানোর চেষ্টা করেন। কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হয় না।
১১ নভেম্বর সকালে হায়দরাবাদে লিনগামপাল-ফলকনামার সঙ্গে কুরনুল সিটি-সেকেন্দ্রাবাদ হুন্ডরি এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। লিনগামপাল-ফলকনামার তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। কুরনুল সিটি-সেকেন্দ্রাবাদ হুন্ডরি এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে। পরে উদ্ধারকর্মীরা এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে। দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়নি বলে জানা গিয়েছে।