সংক্ষিপ্ত
- বিহারে কফিনে ভরে মদ পাচারের চেষ্টা
- হাতেনাতে ধরে ফেলল পুলিশ
- বিহারে নিষিদ্ধ মদ্যপান, মদ বিক্রি
- মদ পাচারের অভিনব চেষ্টা দেখে চিন্তায় পুলিশকর্তারা
মদ বন্ধ। ফলে বেজায় বিপাকে পড়েছেন বিহারের সুরাপ্রেমীরা। সেই চাহিদা মেটাতেই নানা রকম গোপন উপায়ে রাজ্যে মদ ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। এবার ফাঁকা কফিনের মধ্য মদের পেটি ভরে বিহারে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল একটি ট্রাক।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, অভিনব উপায়ে মদ পাচারের এই ঘটনা সামনে এসেছে বিহারের সারনে। পুলিশি তল্লাশিতে পঞ্জাবের নম্বর প্লেট থাকা একটি ট্রাক থেকে মদ ভর্তি এই কফিনগুলি উদ্ধার হয়। মোট ছ'টি কফিন কালো কাপড়ে মুড়ে তার মধ্যে মদ ভরে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে মাঝা চেকপোস্ট পেরিয়ে বিহারে প্রবেশ করে ওই ট্রাকটি।
এর আগে বিহারে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু দুধের ট্যাঙ্কার, গাড়ির মধ্যে বিশেষ চেম্বার তৈরি করেও মদ ঢোকানোর চেষ্টা করেছে পাচারকারীরা। তবে মদ পাচারের জন্য কফিনের ব্যবহার বিহারে অন্তত এই প্রথম।
যে পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে এই মদ উদ্ধার হয়, তিনি জানিয়েছেন, ওই ট্রাকের চালক প্রথমে কফিনগুলি ফাঁকা বলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশ্বাস না করে জোর করে কফিন খুলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ট্রাক থেকে মোট ৪,৩৩৭ লিটার দেশি মদ উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা। পটনা এবং ছাপরায় ওই মদ সরবরাহ করার কথা ছিল বলে ট্রাকচালককে জেরা করে জানতে পারে পুলিশ। অভিযুক্ত ট্রাক চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই মদ পাচার করতে অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।
যেমন কখনও বাইসাইকেল টিউবে ভরে কখনো আবার সবজির মধ্যে ভরে পঞ্জাব, হরিয়ানার, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান। এমন কী, তরমুজের মতো ফলের ভিতরে মদ ভরেও পাচার করার চেষ্টা করেছে।'