সংক্ষিপ্ত
সমীক্ষার আরেক অংশে সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়েছে। দেখা যাচ্ছে সমীক্ষার তালিকায় এগিয়ে থাকলেও আগের থেকে অনেকটাই কমেছে নমোর জনপ্রিয়তা। বিশ্লেষকদের দাবি রাহুল গান্ধীর এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে অনেকটাই ভূমিকা পালন করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা।
বেড়ে চলা বেকারত্বের জেরে কি যুব সম্প্রদায়ের ভোট থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার? যুব সমাজের কাছে ফিকে হচ্ছে মোদী ম্যাজিক? সেই আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে গেরুয়া শিবির।
তথ্য অনুয়াযী জনপ্রিয়তার নিরিখে তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীয়ের নামও। অতএব জনপ্রিয়তার দিক থেকে কংগ্রেসের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। কিন্তু সমীক্ষার আরেক অংশে সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়েছে। দেখা যাচ্ছে সমীক্ষার তালিকায় এগিয়ে থাকলেও আগের থেকে অনেকটাই কমেছে নমোর জনপ্রিয়তা। বিশ্লেষকদের দাবি রাহুল গান্ধীর এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে অনেকটাই ভূমিকা পালন করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা। দেশজুড়ে এই কর্মসূচির জেরেই মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আগের থেকে বেশ খানিকটা বেড়েছে।
এই বিষয়টি মাথায় রেখেই শনিবার দিল্লিতে বিজেপির যুব সংগঠনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাত্পর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (বিজেওয়াইএম)। ওই বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে অবিলম্বে সারা দেশে এক কোটি যুবক-যুবতীর সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তোলা হবে। ভোটার তালিকায় সদ্যই যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁদের উপর বিশেষভাবে 'ফোকাস' করতে হবে।
২০২৪-কে পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে, ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, বিজেপি'কে উত্খাত করে মসনদ দখলে কোমর বাঁধছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে যুব সমাজকে নিয়ে চিন্তায় মোদী সরকার। তাই বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাঁদের সামনে তুলে ধরতে হবে গত ন'বছরে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।