সংক্ষিপ্ত
পুষ্পক একটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য লঞ্চিং বিমান। এটি এমন একটি বিমান যা দেখতে ডানাওয়ালা বিমানের মতো। এর দৈর্ঘ্য ৬.৫ মিটার। এর ওজন ১.৭৫ টন। এই বিমানটিতে রয়েছে রোবোটিক অবতরণ ক্ষমতা। এই বিমানটি ঘণ্টায় ৫.৩৫০ কিলোমিটার গতিতে অবতরণ করতে সক্ষম।
ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল (আরএলভি) 'পুষ্পক' -এর পরীক্ষাটি সম্পূর্ণভাবে সফল হয়। কর্ণাটকের চিত্রদুর্গার কাছে পরীক্ষাটি করা হয়। পরীক্ষার সময় অনেক উচ্চপদস্থ বিজ্ঞানী এবং অফিসার উপস্থিত ছিলেন। 'পুষ্পক' নামের এই যানটি ৪.৫ কিলোমিটার দূরে একটি রিলিজ পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে।
হ্যাটট্রিক করেছে পুষ্পক
এই পরীক্ষার পরে, ISRO টুইটারে লিখেছে, “এই পরীক্ষার মাধ্যমে, পুষ্পক হ্যাটট্রিক করেছে। রিলিজ পয়েন্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার পর উইংড গাড়িটি রানওয়েতে নিখুঁতভাবে অবতরণ করে। 'RLV LEX-03' অবতরণ পরীক্ষার মাধ্যমে পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য মিলল বলেই মনে করা হচ্ছে। RLV-এর মধ্যে 'ক্রস-রেঞ্জ' এবং 'ডাউনরেঞ্জ' রানওয়ে ল্যান্ডিং অটোমেটিক মোডে রয়েছে।
এই সাফল্যের জন্য দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। এই সাফল্যের বিষয়ে, VSSC ডিরেক্টর ডঃ এস উন্নীকৃষ্ণান নায়ার বলেছেন যে এই ক্ষেত্রে সাফল্যের মাধ্যমে, ISRO সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত মোডে টার্মিনাল স্টেজের চালচলন, অবতরণ এবং শক্তি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এটি ভবিষ্যতের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পুষ্পক বিমানের গুণ
পুষ্পক একটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য লঞ্চিং বিমান। এটি এমন একটি বিমান যা দেখতে ডানাওয়ালা বিমানের মতো। এর দৈর্ঘ্য ৬.৫ মিটার। এর ওজন ১.৭৫ টন। এই বিমানটিতে রয়েছে রোবোটিক অবতরণ ক্ষমতা। এই বিমানটি ঘণ্টায় ৫.৩৫০ কিলোমিটার গতিতে অবতরণ করতে সক্ষম। একই আকারে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়। এইভাবে এটি মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ কমাতে সক্ষম হবে। এটি মহাকাশের যেকোনো স্যাটেলাইটকে রিফুয়েলিং বা মেরামত করতে সাহায্য করবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।