সংক্ষিপ্ত
- কথা বলা থেকে মানুষের মতো আচরণ সবই করতে পারে সে।
- সে ইসরোর তৈরি অর্ধ-যন্ত্রমানবী, নাম ব্যোমমিত্রা।
- গগনযান অভিযানের আগে পরীক্ষামূলক উড়ানে মহাকাশে যাবে।
- বুধবার তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল ইসরো।
সে কথা বলতে পারে। অন্য মানুষকে চিনতেও কোনও অসুবিধা হয় না। মহাকাশচারীদের কাজকর্ম নকল করতে পারে। এমনকী, গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন এবং প্রশ্নোত্তরেও সক্ষম সে। তার নাম ব্যোমমিত্রা। গগনযান অভিযানের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তৈরি একটি 'অর্ধ-হিউম্যানয়েড' বা অর্ধ মানব-রোবট। গগনযান অভিযানের জন্য পরীক্ষামূলক উড়ানের অংশ হিসাবে তাকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ইসরো।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ব্যোমমিত্রা-র। সাংবাদিকদের সে প্রথমেই বলে, 'হাই, আমি অর্ধ-যন্ত্রমানবীর প্রথম প্রোটোটাইপ, ব্যোমমিত্রা'। সে নিজেই জানায়, সে নভোশ্চরদের ক্রিয়াকলাপকে 'নকল' পারে। তাদের চিনতে পারে, তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। কিন্তু কেন তাঁকে অর্ধ-যন্ত্রমানবী বলা হচ্ছে? ইসরোর বিজ্ঞানী স্যাম দয়াল জানিয়েছেন, ব্যোমমিত্রার পা নেই বলেই তাকে এমনটা বলা হচ্ছে। সে কেবল পাশে এবং সামনে ঝুঁকতে পারে।
গগনযান প্রকল্পের অংশ হিসাবে মূল অভিযানের আগে, এই বছরের শেষে মহাকাশে মানবহীন মহাকাশযান পাঠাবে ইসরো। সেই অভিযানেই মহাকাশে যাবে ব্যোমমিত্রা। তার মধ্য দিয়েই গগনযান অভিযানের সময় কী কী সমস্যার মুখোমুকি হতে হবে তা বুঝে নেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।
এখনও পর্যন্ত মহাকাশে পারি দিয়েছেন একজন মাত্র ভারতীয়, বায়ুসেনার উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা। তবে, মহাকাশে গিয়েছিলেন রুশ মহাকাশযানে করে। এই প্রথম ভারত নিজস্ব মহাকাশযানে মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়ে ফের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য ইতিমধ্য়েই বায়ুসেনা থেকে চারজনকে বাাছাই করা হয়েছে। তারা আপাতত রাশিয়ায় মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তাঁদের আগেই ইসরোর মহাকাশযানে চড়ে যাত্রা করবে ব্যোমমিত্রা।