সংক্ষিপ্ত

আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনার আওতায় নয়াদিল্লির লক্ষ্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ কমিয়ে আনা। বর্তমানে, কক্ষপথে এক কিলোগ্রাম পেলোড স্থাপন করতে দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়। ইসরোর নয়া উদ্যোগে সেই খরচ কমে দাঁড়াবে পাঁচ থেকে এক হাজার ডলারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতের মহাকাশ সংস্থা 'ইসরো' এক নতুন উচ্চতা পেতে চলেছে। ISRO এমন একটি রকেট নিয়ে কাজ করছে যা মহাকাশ গবেষণার জন্য একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও চিন, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন রকেট তৈরি করেছে।

খরচ কমানোর প্রচেষ্টা
আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনার আওতায় নয়াদিল্লির লক্ষ্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ কমিয়ে আনা। বর্তমানে, কক্ষপথে এক কিলোগ্রাম পেলোড স্থাপন করতে দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়। ইসরোর নয়া উদ্যোগে সেই খরচ কমে দাঁড়াবে পাঁচ থেকে এক হাজার ডলারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বেসরকারি খাতের সাহায্য 
ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নতুন রকেটের নকশা, নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য মহাকাশ সংস্থা বেসরকারি ক্ষেত্রের নানা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য যাতে রকেটটি বাণিজ্যিকভাবে চালানো যায়।

BE-3 এর প্রথম ফ্লাইট ২০১৫ সালে
BE-3 ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো মহাকাশে উড়ে গিয়েছিল। ব্লু অরিজিনের পুনঃব্যবহারযোগ্য সাবঅরবিটাল রকেট সিস্টেমটি মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কারমান লাইনের বাইরে নভোচারী এবং গবেষণার পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

বড় সাফল্যে দৃঢ় বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিন নিউ শেপার্ড মহাকাশযান চালু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে BE-3 রকেট এবং ক্রু ক্যাপসুল। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপরে গিয়েছিল। পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় ক্যাপসুলটি প্যারাসুটের মাধ্যমে নেমেছিল। ।

ইউরোপীয় সংস্থাও একটি পরিকল্পনা করেছে
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ২০২৩ সালের জন্য 'থেমিস' নামে একটি প্রোটোটাইপ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেটের পরিকল্পনা করেছে। প্রথম পর্যায়ে কাজও এগিয়েছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে উড়ানের। একই সময়ে, রাশিয়া সয়ুজ-৭ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল নিয়েও কাজ করছে।

চিনের নতুন পদক্ষেপ
এই বছরের আগস্টে, চিন তার লং মার্চ-২ এফ রকেট দিয়ে একটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে। কিছু সময়ের জন্য কক্ষপথে চলার পরে এটি পুনরায় ব্যবহারের জন্য ল্যান্ডিং সাইটে ফিরিয়ে আনা হবে বলে খবর। ফের সেটি নতুন কোনও প্রকল্পে ব্যবহার করা হতে পারে। 

এদিকে, অগাষ্ট মাসেই ইসরো নয়া সাফল্য পায়। শ্রীহরিকোটার স্পেস স্টেশন থেকে ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করে। ৩৪ মিটার লম্বা এসএসএলভি একটি পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ। এই লঞ্চ ভেহিকেলের দাম মাত্র ৫৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশের ৭৫টি স্কুলের ৭৫০ ছাত্রী আজাদস্যাট তৈরি করে।