সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানে স্বার্থ দেখে তবেই হয়েছিল পুলওয়ামা হামলা

এফএটিএফ-এর যাচাই প্রক্রিয়াকে দেওয়া হয়েছিল ধোকা

সেইভাবেই পরিকল্পনা করেছিল জইশ নেতারা

বদলে দেওয়া হয়েছিল আর্থিক লেনদেনের পরিচিত পদ্ধতি

 

২০১৯ সালে যখন পুলওয়ামায় বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ বা জেইএম ততদিনে পাকিস্তানের নাম উঠে গিয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর গ্রে লিস্টে। তবে জঙ্গিরা কৃতঘ্ন নয়, পাকিস্তান যেমন তাদের নিয়মিত সহায়তা করে, তারাও এফএটিএফ-এর চাবুকের হাত থেকে ইমরান সরকারকে বাঁচাতে সচেষ্ট বলে জানা গিয়েছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ জানিয়েছে পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনার সময়ও জঙ্গিনেতারা মাথায় রেখেছিল, ওই ঘটনার জন্য এফএটিএফ-এ পাকিস্তানের অবস্থা আরও যাতে খারাপ না হয়।

জইশ-এর মতো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির পাক ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ইমরান সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার যাচাইযোগ্য প্রমাণ চেয়েছিল এফএটিএফ। পাকিস্তান এখনও তা করতে পারেনি। তাই এখনও ধূসর তালিকা থেকে বের হতে পারেনি তারা। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক ফোরামের যাচাই বাছাই-এর প্রক্রিয়াকে ধোকা দিতে জইশ নেতারা পুলওয়ামার হামলা ঘটানোর জন্য, পাকিস্তান থেকে ছোট ছোট অঙ্কে ভেঙে পাঁচ কিস্তিতে উমর ফারুক-এর অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করেছিল। এনআইএ কর্তারা জানিয়েছেন আগে পুরো লেনদেন একবারেই করা হতো।

এনআইএ-র চার্জশিট অনুযায়ী অ্যালায়েড ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান এবং পাকিস্তানের মীনাজ ব্যাঙ্কে ফারুকের অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখানে ২৭ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঁচটি কিস্তিতে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১০ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়েছিল। ফারুক-এর সঙ্গে তার পাক হ্যান্ডলারদের যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট চার্জশিটেরর সঙ্গে পেশ করেছে এনআইএ, তা অনুযায়ী হামলা চালাতে মোট ব্যয় হয়েছিল ৫.৭ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি হামলা চালানো। অতিরিক্ত তুষারপাতের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল হামলার তারিখ।