সংক্ষিপ্ত

আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানকে কোনও সাহায্য করবে না বলে ইঙ্গিত দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়ঙ্কর। তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ তৈরির কারখানা

আর্থনৈতিক সংকটেভোগা পাকিস্তানকে একটুও সাহায্য নয়। বিদেশ মন্ত্রক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তেমনই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাম্প্রতিক অতীতে আর্থিক সংকটে ভোগা শ্রীঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। একাধিক সাহায্য পাঠান হয়েছিল। সেই কারণেই পাকিস্তানকেও ভারত সাহায্য করবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। তার উত্তরেই তিনি বলেন, 'আমরা একটি তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তাই আপনি জানেন এর উত্তর কী হতে পারে।'

পাকিস্তান তুমুল আর্থিক সংকট চলছে। বহুপাক্ষিক চুক্তির পরেও তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু ভারত অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে দাঁড়ালেও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে না, তেমনই ইঙ্গিত এদিন জয়শঙ্কর দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কোনও দেশই কখনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না যতক্ষণ না সেই দেশ একটি সমৃদ্ধশালী শিল্প তৈরি হয়। পকিস্তানের শিল্প বলতে সন্ত্রাসবাদ । সন্ত্রাসবাদ তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। তাই দেশটির এই হাল বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এদিনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে প্রথমে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি ঠিক করতে হবে, দেশটিকে রাজনৈতিক সমস্যাগুলি ঠিক করতে হবে। সামাজিক সমস্যাগুলিও ঠিক করতে হবে। তারপরই সেই দেশটি উন্নয়নের মুখ দেখবে। তিনি আরও বলেন কোনও দেশ গুরুতর আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হলে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথমে একটি নীতি গ্রহণ করতে হবে। কূটনীতি থেকে রাজনীতি সর্বত্রই তার প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন বিশ্ব কেবল বিকল্প দিতে পারে আর সমর্থন জানাতে পারে। কিন্তু কোন নীতি পাকিস্তান গ্রহণ করবে তা সেই দেশকেই স্থিক করতে হবে। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতেও আধুনিক সময় বেশ কয়েকবার চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গেছেছ। ৩০ বছর আগে ভারত পেমেন্টের ভারসাম্য সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে। কিন্তু ভারত নিজেই সমস্যা মোকাবিলা করতে পেরেছে।

এস জয়শঙ্কর আরও বলেন ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির নানা সমস্যায় ভারত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন বিশ্বের প্রধান ধটনা ও নীতিগত সিদ্ধান্তগুলির একাধিক দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্রম প্রভাব রয়েছে যা ভারত তার জি-২০ সভাপতিত্বের অংশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে।